কোটা সংস্কারের দাবি: ইবি শিক্ষার্থীদের রাষ্ট্রপতি বরাবর স্মারক-লিপি

ইবি প্রতিনিধি: প্রকাশিত: জুলাই ১৪, ২০২৪, ০৩:১৬ পিএম
কোটা সংস্কারের দাবি: ইবি শিক্ষার্থীদের রাষ্ট্রপতি বরাবর স্মারক-লিপি

জাতীয় সংসদে জরুরি অধিবেশন ডেকে দেশে বিদ্যমান সরকারি চাকুরিতে থাকা ‘কোটা বৈষম্য’ সংস্কারের আইন পাশ করে এই কোটা ইস্যুর একটি স্থায়ী সমাধানের উদ্দেশ্যে মহামান্য রাষ্ট্রপতি বরাবর স্মারকলিপি পাঠিয়েছে কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি)’র শিক্ষার্থীরা।

রবিবার (১৪ জুলাই) সকালে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসন কার্যালয়ে ডিসি মো. এহেতেশাম রেজা অনুপস্থিত থাকায় এডিসি মো. মহসিন উদ্দীনের কাছে এই স্মারকলিপি হস্তান্তর করা হয়। এসময় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ও কুষ্টিয়া সরকারি কলেজের ৭ শিক্ষার্থী প্রতিনিধি স্মারক লিপি জমা দেয়।

এর-আগে সকাল ১০টার দিকে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে শিক্ষার্থীদের এক সুবিশাল পদযাত্রা কুষ্টিয়ার চৌড়হাস মোড় থেকে মজমপুর গেট ও মুজিব চত্বর প্রদক্ষিণ করে জেলা প্রশাসন প্রাঙ্গণে আসে এবং জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে মহামান্য রাষ্ট্রপতি বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন।

স্মারকলিপি প্রদান শেষে ডিসি কোর্ট চত্বরে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন শিক্ষার্থীরা। সেখানে তারা কোটা সংস্কারে জরুরি অধিবেশন চেয়ে বলেন, ‘১৯৭২ সালে সংবিধানটি ছিল সমতার সংবিধান যেখানে সবার সমতার নিশ্চয়তা দেয়া হয়েছে। কিন্তু আজ এতদিন পরে এসেও আমরা কোটার নামে এক বৈষম্য ব্যবস্থা দেখতে পাচ্ছি যা সংবিধানের লঙ্ঘন। ৫৬% নিয়োগ যদি কোটার মাধ্যমে হয় তাহলে সাধারণ শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা করে কি করবে?’

এছাড়াও শিক্ষার্থীদের উপর যে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে সেটা আগামী ২৪ ঘণ্টার ভেতর প্রত্যাহারের দাবিতে বিক্ষোভ ও গণপদযাত্রা করেন প্রায় কয়েকশো শিক্ষার্থী। এসময় কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ, কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ, কুষ্টিয়া পলিটেকনিক, সিটি কলেজ ও মহিলা কলেজের শিক্ষার্থীরা উক্ত আন্দোলন ও স্মারকলিপি প্রদান কার্যক্রমে একাত্মতা প্রকাশ করেন।

রাষ্ট্রপতির কাছে প্রত্যাশা রেখে শিক্ষার্থীরা বলেন, সংসদে অধিবেশন ডেকে আমাদের দাবিগুলো আমলে নিয়ে কমিটি গঠন করে বৈষম্যমূলক কোটা সংস্কার করবে। এছাড়া শিক্ষার্থীদের উপর মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে দাবিদাওয়া মেনে নিয়ে আমাদের ক্লাসরুমে ফিরিয়ে দিক।

এদিকে স্মারকলিপি হাতে পেয়েছেন নিশ্চিত করে এডিসি মো. মহসিন উদ্দীন বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের স্মারকলিপিটি আমরা যথাযথভাবে রাষ্ট্রপতির কাছে পৌঁছে দিব।’

প্রসঙ্গত, কোটা ইস্যুতে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো বেশ কদিন যাবৎ আন্দোলন চলমান রেখেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়। এর আগে ক্যাম্পাস ও ক্যাম্পাস সংলগ্ন মহাসড়কে আন্দোলন বিক্ষোভ করলেও এবার তারা ক্যাম্পাস ছেড়ে ২৩ কিলোমিটার দূরে এসে পদযাত্রা ও বিক্ষোভ করে।

বিআরইউ