শিক্ষার্থীদের গ্রেপ্তারের নিন্দা ও মুত্তির দাবিতে চবি সাধারণ শিক্ষক

চবি প্রতিনিধি: প্রকাশিত: জুলাই ৩০, ২০২৪, ০৬:০০ পিএম
শিক্ষার্থীদের গ্রেপ্তারের নিন্দা ও মুত্তির দাবিতে চবি সাধারণ শিক্ষক

সম্প্রতি বৈষম্যমূলক কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিরপরাধ শিক্ষার্থীদের গ্রেফতারের নিন্দা ও অবিলম্বে মুক্তির দাবিতে বিবৃতি জানিয়েছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) সাধারণ শিক্ষকবৃন্দ।

মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) এক বিবৃতিতে এ প্রতিবাদ জানানো হয়। বিবৃতিতে এ পর্যন্ত ৫৭ জন শিক্ষক অংশ নিয়েছেন।

বিবৃতিতে বলা হয়, কোটা সংস্কারের  যৌক্তিক আন্দোলনকে কেন্দ্র করে বিগত বেশ কিছুদিন ধরে দেশে চরম অরাজকতা চলছে। এসময় শিক্ষার্থীদের উপর বর্বরোচিত হামলা অব্যাহত রয়েছে। এখন পর্যন্ত আন্দোলনরত শিক্ষার্থীসহ শিশু থেকে বৃদ্ধ পর্যন্ত ২০০ জনের অধিক নাগরিককে হত্যা করা হয়েছে বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে বলা হচ্ছে।

পাশাপাশি বর্তমান আন্দোলন দমনের লক্ষ্যে দমনপীড়নমূলক হয়রানি, মামলা ও গণগ্রেফতার জারি রয়েছে। দমনপীড়নের এই  ধারাবাহিকতায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩ জন ছাত্র আল মাশনূন, দ্বিতীয় বর্ষ, ফার্সি বিভাগ; সায়হাম মাহমুদ,নাট্যকলা বিভাগ ও রমজান শেখ, শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট, ১ম বর্ষ কে গ্রেফতার/আটক বা ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে আমরা বিভিন্ন  সূত্রে জানতে পেরেছি। এদের ছাড়াও আরো কিছু শিক্ষার্থীর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না বলেও বিভিন্ন সূত্র থেকে দাবি করা হচ্ছে। এসব ঘটনা অত্যন্ত অযৌক্তিক ও উদ্বেগজনক।

বিবৃতিতে আরো বলা হয়, আমরা বিশ্বাস করি, চলমান আন্দোলনে আমাদের এই ছাত্ররা যদি অংশগ্রহণ করেও থাকেন তা তাদের গণতান্ত্রিক অধিকারের অংশ হিসেবেই করেছেন এবং তারা কোনোভাবেই সহিংসতার সাথে জড়িত নন। এ পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষক হিসেবে আমরা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি, সব রকম পুলিশি হয়রানির নিন্দা জানাচ্ছি এবং তাদের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করছি।

পাশাপাশি, আমরা চলমান আন্দোলনকে কেন্দ্র করে আজ পর্যন্ত সংঘটিত সকল হামলা-মামলা, ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড, গণগ্রেফতার ও হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যসহ যেই হোক না কেন সকল হত্যাকারীকে দ্রুত বিচারের মুখোমুখি করার দাবি জানাই। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আটক/গ্রেফতারকৃত ছাত্ররাসহ দেশের সকল নিরপরাধ শিক্ষার্থীদের অবিলম্বে মুক্তির দাবি জানাচ্ছি।

বিআরইউ