সপ্তাহব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। সোমবার (১২ আগস্ট) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আবু বাকের মজুমদার এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
আবু বাকের মজুমদার জানান, মঙ্গলবার থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে সপ্তাহব্যাপী ‘রেজিস্ট্যান্স উইক’ শুরু হতে যাচ্ছে। এই কর্মসূচির অংশ হিসেবে ১৩ আগস্ট সারাদেশে যে সব স্থানে জাতীয় বীরেরা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহীদ হয়েছেন, সেসব পয়েন্ট অভিমুখে ‘রোডমার্চ’ কর্মসূচি পালিত হবে। রোডমার্চে সংশ্লিষ্ট স্থানে জড়ো হয়ে ‘এক মিনিট নিরবতা পালন করা হবে এবং শহীদদের স্মরণে দোয়া ও প্রার্থনা করা হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে বিকাল ৩টায় জমায়েতের মাধ্যমে এ কর্মসূচি শুরু হবে।
এ সময় তিনি চার দফা দাবি ঘোষণা করেন। দাবিগুলো হলো:
১. ফ্যাসিবাদী কাঠামোকে ব্যবহার করে ফ্যাসিস্ট হাসিনা এবং তার দল ও সরকার যে হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে, সেগুলোর দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করতে হবে।
২. সংখ্যালঘুদের উপর আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী মহাজোটের শরিক দলগুলোর পরিকল্পিত হত্যা, ডাকাতি ও লুণ্ঠনের মাধ্যমে গণ-অভ্যুত্থানকে বিতর্কিত করার প্রচেষ্টায় অংশগ্রহণকারীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনতে হবে এবং সংখ্যালঘুদের ন্যায্য দাবি মেনে নিতে হবে।
৩. প্রশাসন ও বিচার বিভাগে যারা ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে হামলা, মামলা, এবং হত্যাযজ্ঞকে বৈধতা দিয়েছে এবং ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা বারংবার কায়েমের চেষ্টা করছে, তাদের দ্রুততম সময়ে অপসারণ ও নূতন সরকারে তাদের নিয়োগ বাতিল করে বিচারের আওতায় আনতে হবে।
৪. প্রশাসন ও বিচার বিভাগে যারা এতদিন বৈষম্যের শিকার হয়েছে, তাদের জন্য দ্রুততম সময়ে সুযোগের সমতা নিশ্চিত করতে হবে।
বিআরইউ