দিনাজপুর হাবিপ্রবি ছাত্রাবাস থেকে বিপুল দেশীয় অস্ত্র ও মদের বোতল উদ্ধার

দিনাজপুর প্রতিনিধি প্রকাশিত: আগস্ট ১৫, ২০২৪, ০৭:৩০ পিএম
দিনাজপুর হাবিপ্রবি ছাত্রাবাস থেকে বিপুল দেশীয় অস্ত্র ও মদের বোতল উদ্ধার

দিনাজপুরে হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪টি ছাত্রাবাস থেকে বিভিন্ন ধরনের ধারালো অস্ত্রসহ বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

মঙ্গল এবং বুধবার দুইদিন শিক্ষকদের উপস্থিতিতে সাধারণ শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের তাজউদ্দিন আহমেদ, শেখ রাসেল, বঙ্গবন্ধু ও জিয়া হলের বিভিন্ন কক্ষে অভিযান চালিয়ে এসব অস্ত্র উদ্ধার করে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পদত্যাগ করা রেজিস্টার সাইফুর রহমান।

অভিযানের সঙ্গে সঙ্গে হলগুলো খুলে দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।

উদ্ধার অস্ত্রের মধ্যে রামদা, হাসুঁয়া বা তরবারির মত বিভিন্ন ধরনের ধারালো অস্ত্রের সংখ্যা শতাধিক। রয়েছে বিপুল রড, লোহার পাইপ, হকিস্টিক, হেলমেট ও বাঁশের লাঠি। এছাড়া মদের বোতলসহ কিছু মাদকও উদ্ধার করা হয় এসব হল থেকে।

দিনাজপুর কোতয়ালী থানায় জমাকৃত অস্ত্রের হিসাব অনুযায়ী, প্রথম দিন মঙ্গলবার তাজউদ্দীন হলের একটি ফ্লোর থেকে উদ্ধার হয় ১৪৩ বাঁশের লাঠি, ১৬ লোহার রড, ২২ লোহার পাইপ, ছয়টি সামুরাই, দুটি লোহার চেইন, খালি মদের বোতল তিনটি ও মাদক সামগ্রী।

বুধবার শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান হল থেকে ৯টি সামুরাই, ৫০টি এসএস পাইপ, ৪০টি বাঁশের লাঠি, ৩৬টি কাঠের লাঠি, ৭২টি রড ও প্লাস্টিকের পাইপ, একটি মদের বোতল এবং গাঁজা ও মাদক গ্রহণের সামগ্রী উদ্ধার করা হয়।

এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ রাসেল হলের ছাদ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ৯৬টি সামুরাই ও ৪ টি পেট্রোল বোমা। পরে রুমগুলো সিলগালা করছে শিক্ষার্থীরা। উদ্ধার করা অস্ত্র সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। অভিযানের সময় সেনাবাহিনী ও বিজিবির টিম বাহিরে অবস্থান করে। পরে সেনাবাহিনী শিক্ষকদের উপস্থিতিতে সেসব কোতয়ালী থানায় জমা দিয়েছে বলেও জানান রেজিস্টার।

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রাবাসে এত বিপুল সংখ্যক অস্ত্র কীভাবে প্রবেশ করেছে এবং এসব অস্ত্র নিয়ে শিক্ষার্থীদের অবস্থান করায় হল সুপার ও প্রশাসনের দায়িত্বহীনতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

এ বিষয়ে রেজিস্টার প্রফেসর ড. সাইফুর রহমান বলেন, সব হল সুপার আগেই পদত্যাগ করেছেন। এছাড়া তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থার নেওয়ার এখতিয়ার আমার নেই। বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রশাসন আসলে এ বিষয়ে তারা সিদ্ধান্ত নিবে। তিনি নিজেও বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন বলে জানান সাইফুল ইসলাম।

ইএইচ