পাবিপ্রবিতে ড. কামরুজ্জামানের প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা

সফিক ইসলাম, পাবনা প্রকাশিত: আগস্ট ২৫, ২০২৪, ০৬:০১ পিএম
পাবিপ্রবিতে ড. কামরুজ্জামানের প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা

পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ উঠেছে ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের চেয়ারম্যান ও নবনিযুক্ত পরিবহণ প্রশাসক ড. মো. কামরুজ্জামানের বিরুদ্ধে।

বিগত সরকারের সুবিধাভোগী হওয়া সত্ত্বেও নিজেকে বিএনপি-জামায়াতপন্থি দাবি করে নতুনদের দায়িত্ব গ্রহণে বাঁধা দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের শীর্ষ পদে নিজেকে এবং তার আস্থাভাজনদের বসানোর চেষ্টা করছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, পাবিপ্রবির উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, ট্রেজারার, প্রক্টর ও ছাত্র উপদেষ্টা পদত্যাগ করলেও বহাল তবিয়তে পরিবহণ প্রশাসক মো. কামরুজ্জামান। তিনি পাবনায় দুই ছাত্রকে গুলি করে হত্যায় অভিযুক্ত পাবনার ভাড়ারা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আবু সাঈদ খানের খুবই আস্থাভাজন!

সাঈদের ছোট ভাই পাবিপ্রবি অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি হারুনুর রশিদ ডনের সঙ্গে তার গভীর সম্পর্ক রয়েছে তার। ড. মো. কামরুজ্জামান আওয়ামী লীগ সরকারের সময় প্রক্টর ও পরিবহণ প্রশাসকের দায়িত্ব পালন করেছেন।

সরকার পতনের পর প্রক্টর হওয়ার জোর প্রচেষ্টা চালান তিনি। কিন্তু পরিবহণ প্রশাসক করা হয়, তাকে বাদ দিয়ে দুই দফায় দুইজনকে প্রক্টরের দায়িত্ব দেয়া হলেও ড. মো. কামরুজ্জামানের হুমকি ও বাধাতে কেউ দায়িত্ব নিতে সাহস করেননি। সর্বশেষ নবনিযুক্ত প্রক্টর ও ছাত্র উপদেষ্টা পদত্যাগ করেছেন। কেউ তার বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে কথা বলতে সাহস করছেন না। বর্তমানে ‍‍`টক অফ দ্যা ইউনিভার্সিটি‍‍` কামরুজ্জামান!

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষক বলেন, নিজ এলাকার লোক হওয়ার সুবাদে আবু সাঈদ চেয়ারম্যানের সাথে অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের জেরে আওয়ামী আমলে বিশ্ববিদ্যালয়ে দাপট দেখিয়েছেন ড. মো. কামরুজ্জামান। স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে হাসিনার পতনের পর পুনরায় আবার বিএনপি-জামায়াতপন্থি হয়ে উঠেছেন তিনি। হাসিনা সরকারের নানা সুবিধাভোগী তিনি। আওয়ামী লীগের সাথে আতাত করে চলতেন তিনি, এখন বিএনপি-জামায়াত ঘেঁষা হয়ে পুনরায় বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রভাব খাটানোর চেষ্টা চালাচ্ছেন। যা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, শিক্ষার্থীদের জন্য ভীতির কারণ সৃষ্টি করেছে।

ইএইচ