খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু হলে দূষিত পানি পানে অসুস্থ শতাধিক

খুবি প্রতিনিধি : প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২৪, ০২:৩৩ পিএম
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু হলে দূষিত পানি পানে অসুস্থ শতাধিক

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা দূষিত খাবার পানি পান করে পানিবাহিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছে।

জানা যায় গত মঙ্গলবার থেকে শিক্ষার্থীরা অসুস্থ হতে শুরু করে এবং সময় বাড়ার সাথে সাথে অসুস্থ শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়তে থাকে।

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ বুদ্ধিজীবী ডাঃ আলীম চৌধুরী চিকিৎসা কেন্দ্র থেকে জানা যায়  গত বুধবার  প্রায় তিন শতাধিক শিক্ষার্থী প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছে এবং কয়েকজনকে জরুরি বিভাগে ও চিকিৎসা দেয়া হয়েছে যার মধ্যে বেশিরভাগ পানিবাহিত রোগের সমস্যার কারণে।

দায়িত্বরত চিকিৎসক ডাঃ ফিরোজ হাসান বলেন, বেশিরভাগ শিক্ষার্থী ডায়রিয়া, পেটে ব্যাথা, পেট ফাঁপা, বুকে ব্যাথা, বমি ভাবের মতো উপসর্গ নিয়ে এসেছে।

এদিকে বঙ্গবন্ধু হলের আবাসিক শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে জানা যায় কয়েকজন শিক্ষার্থীর অবস্থা খারাপ হওয়ায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে  ভর্তি করা হয়েছে।

বঙ্গবন্ধু হলের আবাসিক শিক্ষার্থী মাসুম বিল্লাহ বলেন, আমার মঙ্গলবার রাতে পেটে ব্যাথার জন্য ঘুম ভেঙে যায়। অনেক কষ্টে রাতটা পার করেছি ভাবছিলাম সাধারণ ব্যাথা সকালে ঠিক হয়ে যাবে হয়তো। কিন্তু দিনের বেলা সমস্যা আরো বেড়ে যায় এবং জানতে পারি হলের প্রায় সবারই একই অবস্থা। 

নাইম আহমেদ জয় নামের আরেক শিক্ষার্থী বলেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যেক হলে খাবার পানির সমস্যা। অনেকবার এ নিয়ে কথা হলেও কোনো সমাধান হয়নি। দূষিত এই পানি খেয়ে শিক্ষার্থীরা প্রায় অসুস্থ হয়ে যায়। আমরা হলে খাবার পানির স্থায়ী সমাধান চাই।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বঙ্গবন্ধু হলের উপ রেজিস্ট্রার আব্দুল মালেক খান বলেন, আমরা হলে যে খাবার পানি সরবরাহ করি তা হলের বাইরে স্থাপিত সাবমারসিবল পাম্প থেকে আসে। গত কয়েকদিনের অতিরিক্ত বৃষ্টির ফলে সাবমারসিবল পাম্পের চেম্বার পানিতে ঢুবে যায় এবং দূষিত পানি মিশে যায় যার ফলে শিক্ষার্থীরা অসুস্থ হয়ে পড়েছে। তবে আমরা জানতে পেরেই সবকিছু পরিষ্কার করেছি। 

তিনি আরো জানান, হলের ভিতরে নতুন একটা সাবমারসিবল পাম্প বসানো হয়েছে কিন্তু প্রভোস্ট নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত সেটা ব্যবহার করা যাচ্ছে না।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ও আর্থিক কার্যক্রম পরিচালনার দায়িত্বপ্রাপ্ত জ্যেষ্ঠ অধ্যাপক মো. রেজাউল করিম বলেন, বিষয়টা আমি জানতে পেরেই শিক্ষার্থী এবং হল প্রশাসনের সাথে কথা বলেছি। এছাড়া আমরা সব হলে সাময়িক কাওকে নিয়োগের ব্যাপারে ও চিন্তাভাবনা করেছি যাতে শিক্ষার্থীরা তাদের সুবিধা অসুবিধা নিয়ে কথা বলতে পারে।

বিআরইউ