বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন পরবর্তী নতুন পরিস্থিতিতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) সম্প্রীতি ও শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষায় ৫ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।
আন্দোলন চলাকালে কোন শিক্ষক-শিক্ষার্থী আক্রমণের শিকার হয়ে থাকলে এই কমিটির কাছে অভিযোগ করলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নিবে চবি কর্তৃপক্ষ।
রোববার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আল-আমীনকে আহ্বায়ক করে গঠিত কমিটিতে সদস্য হিসেবে আছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী পরামর্শ ও নির্দেশনা কেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. সফিকুল ইসলাম, মনোবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. রুমানা আক্তার, সহকারী প্রক্টর সাঈদ বিন কামাল চৌধুরী।
এছাড়াও পাঁচ সদস্যের কমিটিতে সদস্য সচিব হিসেবে আছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ আবুল মোহসীন চৌধুরী।
রেজিস্টার স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে যেকোন শিক্ষার্থী শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী আক্রমণ, হুমকি বা হেনস্তার শিকার হয়ে থাকলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের শান্ত থাকার অনুরোধ করা যাচ্ছে। তবে এরূপ ক্ষতিগ্রস্ত যে কেউ চাইলে উপরোল্লিখিত কমিটির কাছে প্রমাণসহ লিখিত অভিযোগ দাখিল করতে পারবে। কমিটি অভিযোগ খতিয়ে দেখে পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে। কোনোভাবেই আইন নিজ হাতে তুলে নিয়ে আইন শৃঙ্খলার অবনতি ঘটানো যাবে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্ট সকলের আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করছে।
কমিটির কার্যপরিধি সম্পর্কে বলা হয়, কমিটির হস্তগত হওয়া লিখিত অভিযোগ যথাযথভাবে তদন্ত সাপেক্ষে অভিযোগের সত্যতা যাচাই করবে। অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নিকট এ বিষয়ে প্রতিবেদন এবং সুপারিশ পেশ করবে। কমিটির প্রয়োজনে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের যেকোন শিক্ষককে কর্তৃপক্ষের অনুমতি সাপেক্ষে কমিটির সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করতে পারবে।
এতে আরও বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিস কমিটিকে সাচিবিক সহায়তা প্রদান করবে।
ইএইচ