শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তিতে বীর মুক্তিযোদ্ধার নাতি-নাতনি কোটা বাতিল

নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশিত: অক্টোবর ২৯, ২০২৪, ১০:২৪ এএম
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তিতে বীর মুক্তিযোদ্ধার নাতি-নাতনি কোটা বাতিল

দেশের সব সরকারি-বেসরকারি বিদ্যালয়ে প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত ভর্তির ক্ষেত্রে লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী বাছাই করা হবে।

আগামী ১২ থেকে ৩০ নভেম্বরের মধ্যে লটারিতে অংশ নিতে আগ্রহী শিক্ষার্থীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবে। আগামী ডিসেম্বরে ডিজিটাল লটারি অনুষ্ঠিত হবে।

লটারিতে শিক্ষার্থী বাছাই হলেও কোটার কারণে নানা সমস্যায় পড়েন অভিভাবকরা। সরকারি-বেসরকারি স্কুলে ভর্তির ক্ষেত্রে চলমান কোটা ৬৮ শতাংশ।

এর মধ্যে ৪০ শতাংশ কোটা বরাদ্দ আছে ক্যাচমেন্ট অ্যারিয়ার জন্য।

এ ছাড়া বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য ৫ শতাংশ, শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও অধীনস্ত দপ্তর-সংস্থাগুলোর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সন্তানদের জন্য ১ শতাংশ, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা ১০ শতাংশ, বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীরা ২ শতাংশ, অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীর যমজ ও সহদোর ভাই-বোন ৫ শতাংশ কোটায় সংরক্ষিত আসনে ভর্তির সুযোগ পাবে।

তবে এবার কোটায় ভর্তির ক্ষেত্রে নীতিমালায় কিছুটা পরিবর্তন আনা হয়েছে। যেমন: এতদিন বীর মুক্তিযোদ্ধা বা শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের পুত্র-কন্যা এবং পুত্র-কন্যা পাওয়া না গেলে নাতি-নাতনিদের ভর্তির জন্য ৫ শতাংশ কোটা সংরক্ষিত রাখার নিয়ম ছিল।

নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বীর মুক্তিযোদ্ধা বা শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের পুত্র-কন্যার জন্যই কেবল ৫ শতাংশ কোটা সংরক্ষিত থাকবে। এ কোটায় শিক্ষার্থী না পাওয়া গেলে মেধাতালিকা থেকে এ আসনে ভর্তি করতে হবে।

ইএইচ