সেনাবাহিনীকে কিভাবে কাজ দেয়া তার সেবিষয়ে আগামীকাল বৈঠকে বসবে মন্ত্রণালয় ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
সোমবার বিকালে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীর ১২ প্রতিনিধির সাথে বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়।
এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক ড.রইছ উদ্দীন, বেলাল আহমেদ, নাসির আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
সচিবালয়ে বৈঠকের শেষে আন্দোলনের মুখপাত্র তৌসিব মাহবুব সোহান বলেন, আগামীকাল দুপুর ১২ টায় উপাচার্য ও প্রজেক্ট ডিরেক্টর দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের সকল কাগজপত্র নিয়ে আসবে। শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে দুইজন প্রতিনিধিও উপস্থিত থাকবে। সেখানে সিদ্ধান্ত হবে কীভাবে সেনাবাহিনীকে কাজ দেওয়া যায়।
শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো
১. স্বৈরাচার আমলে নিয়োগপ্রাপ্ত প্রজেক্ট ডিরেক্টরকে আইনের আওতায় আনতে হবে এবং সাত দিনের মধ্যে সেনাবাহিনীর দক্ষ অফিসারদের হাতে এ দায়িত্ব অর্পণ করতে হবে।
২. শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে সুনির্দিষ্ট রূপরেখা ঘোষণা করতে হবে যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর হয়েছে।
৩. অবিলম্বে বাকি ১১ একর জমি অধিগ্রহণের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে এবং পুরাতন ক্যাম্পাস নিয়ে স্বৈরাচার সরকারের আমলের সব চুক্তি বাতিল করতে হবে।
৪. সম্প্রতি ইউজিসির ঘোষণা করা পাইলট প্রকল্পে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
৫. বিশ্ববিদ্যালয়ের বাৎসরিক বাজেট সর্বনিম্ন ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ প্রদান করতে হবে।
আন্দোলনের সংগঠক এ কে এম রাকিব বলেন, আমরা আজ মন্ত্রণালয়ে স্মারকলিপি দেবো। পাশাপাশি তিন কার্যদিবসের সময় দেবো। যদি এরমধ্যে এসব সমস্যার সমাধান না করা হলে আরও কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবো।
আরএস