গণতন্ত্র, সার্বভৌমত্ব ও মাওলানা ভাসানী শীর্ষক আলোচনা সভা

মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি: প্রকাশিত: নভেম্বর ১৬, ২০২৪, ০৪:৪০ পিএম
গণতন্ত্র, সার্বভৌমত্ব ও মাওলানা ভাসানী শীর্ষক আলোচনা সভা

টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (মাভাবিপ্রবি) মজলুম জননেতা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৮তম ওফাত বার্ষিকী উদ্‌যাপন উপলক্ষ্যে ‘গণতন্ত্র, সার্বভৌমত্ব ও মাওলানা ভাসানী’  শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (১৬ নভেম্বর) সকাল ১১ টায় তৃতীয় একাডেমিক ভবনের সেমিনার কক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনা সভায় প্রবন্ধ উপস্থাপক মওলানা ভাসানী গবেষক সৈয়দ ইরফানুল বলেন, রাজনীতি বলতে মাওলানা ভাসানী যা করেছেন, তাঁর বিবেচনায়, তিনি হক্কুল ইবাদ অর্থাৎ সৃষ্টির হক আদায় করেছেন। ভুল বুঝা হবে মাওলানা ভাসানীকে, যদি মনে করা হয়, তিনি নিছক রাজনীতি করেছেন। মাওলানা ভাসানী আজীবন সমাজতান্ত্রিক বিশ্ব গড়ে তোলার জন্য লড়াই করেছেন সত্য, তারপরও তিনি গণতান্ত্রিক আন্দোলনে নেতৃত্ব দান করেছিলেন, এ নিয়ে বিতর্কের অবকাশ নেই। অবশ্য মাওলানা ভাসানীর যে গণতন্ত্র তার মধ্যেও ভিন্নতা আছে। মাওলানা ভাসানী সবসময় শ্রমিক-কৃষক-মেহনতি জনতার রাজনীতিকে সামনে আনতে চেয়েছেন।

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ এর অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান, সভাপতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মাভাবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল আজীম আখন্দ।

স্বাগত বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন— সেমিনার উপকমিটির আহ্বায়ক ও আইসিটি বিভাগের অধ্যাপক ড. সাজজাদ ওয়াহিদসহ বিভিন্ন অনুষদের ডিন, চেয়ারম্যান, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, কর্মচারী।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান বলেন, মওলানা ভাসানী ইসলামের মর্মটা বুজে ছিলেন। ধর্মের একটা মর্ম আছে, সেটা হচ্ছে ন্যায়বিচার। এই ন্যায়বিচারকে আপনি গণতন্ত্র বললেও বলতে পারেন, সমাজতন্ত্র বললেও বলতে পারেন। মওলানা ভাসানী শুধু রাজনীতিবিদ ছিলেন না, তিনি বাস্তবজ্ঞান দার্শনিকও ছিলেন।

আমি মনে করি, মওলানা ভাসানীর পায়ের নখ থেকে মাথার চুল পর্যন্ত রাজনীতিবিদ ছিলেন। রাজনীতি মানে গোটা রাজ্যবাপী যে নীতি। নীতির রাজা হিসেবে রাজনীতি।

উল্লেখ্য, মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৮তম ওফাত বার্ষিকী উদ্‌যাপন উপলক্ষ্যে ‘গণতন্ত্র, সার্বভৌমত্ব ও মওলানা ভাসানী’ শীর্ষক আলোচনা সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।

বিআরইউ