রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় পোষ্য কোটাকে বৈষম্যমূলক, বেআইনি এবং সংবিধান পরিপন্থি আখ্যা দিয়ে কোটা পদ্ধতি বাতিলসহ তিন দাবিতে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি দাবিগুলোর বিষয়ে আগামী ৭ দিনের মধ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নিলে হাইকোর্টে রিট পিটিশন দায়ের করা হবে বলে নোটিশে বলা হয়েছে।
গত শনিবার (১৬ নভেম্বর) দেশের শিক্ষা উপদেষ্টা, ইউজিসির চেয়ারম্যান, বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য ও রেজিস্ট্রারসহ মোট ৬টি দপ্তরে এই নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
নোটিশটি পাঠিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. নাজিমুদ্দীন (নাজিম মৃধা)। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির (রাবিসাস) সাবেক সহ-সভাপতি।
নোটিশের অন্য দুটি দাবি হলো যারা পোষ্য কোটায় ভর্তি হয়ে এখনও অধ্যয়নরত রয়েছে তাদের ভর্তি বাতিলে উদ্যোগ গ্রহণ করা এবং বিগত ৪ টি শিক্ষাবর্ষে যারা পোষ্য কোটায় ভর্তি হয়েছে ‘গ্রেস মার্ক’সহ তাদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ করা।
এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী নাজিমুদ্দীন বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের সন্তানরা কখনও পিছিয়ে পড়া গোষ্ঠী নয়। বরং তাঁদের সন্তানেরা ভালো পরিবেশ ও ভালো স্কুল-কলেজে পড়ার সুযোগ পেয়ে থাকেন। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের নিজেদের সন্তানদের অনৈতিক সুবিধা দিতে নিজেদের দ্বারা প্রচলিত পোষ্য কোটা চালুর ধারণাটি ‘স্বার্থের সংঘাত’ নীতি এবং সংবিধান পরিপন্থি। বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্য, সুনাম রক্ষা ও মানোন্নয়নের স্বার্থে অবিলম্বে তা বাতিল করা উচিত। এ ধরনের পোষ্য কোটার প্রচলন বিশ্ববিদ্যালয় আইন ও দেশের সংবিধানে এমন অন্যায্য অগ্রাধিকার দেওয়ার কোন সুযোগ নেই। এটি রাষ্ট্রের মৌলিক নীতি ও সংবিধান পরিপন্থি।’
ভর্তি পরীক্ষায় পোষ্য কোটায় ‘গ্রেস মার্ক’ দিয়ে ভর্তি করানোর সিদ্ধান্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য লজ্জাজনক মন্তব্য করে তিনি আরও বলেন, ‘পূর্বে ভর্তি পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়া সত্ত্বেও পোষ্য কোটাধারীদের ‘গ্রেস মার্ক’ দিয়ে ভর্তি করানোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ দেশের অন্যতম বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্যে লজ্জাজনক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের মৌলিক ধারণার পরিপন্থি। এটা করার অধিকার ও কর্তৃত্ব বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নেই।’
তবে নোটিশটি এখনো হাতে পায়নি বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ্ হাসান নকীব ও রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) শেখ সাদ আহমেদ।
বিআরইউ