ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতিতে নিয়মিত অভিযান এবং তদনুযায়ী শাস্তির বিধানের বাস্তবিক প্রয়োগ করায় প্রশংসায় ভাসছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) প্রশাসন।
থার্টি ফার্স্ট নাইটে ক্যাম্পাসে মাদক ব্যবসা নির্মূলে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে মাদকসহ কয়েকজনকে আটক করার ঘটনায় বিশেষভাবে প্রশংসিত হয়েছে প্রশাসন। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে প্রশাসনকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়েছে জাবি শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার রাত ৯টায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) রেজিস্ট্রার বিল্ডিংয়ের সম্মেলন কক্ষে জাবি প্রশাসনকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানায় শিক্ষার্থীরা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. কামরুল আহসান, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. সোহেল আহমেদ, প্রক্টর অধ্যাপক ড. রাশিদুল আলম, সহকারী প্রক্টর শামীমা নাসরীন জলি ও জীববিজ্ঞান অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. মাফরূহী সাত্তার।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৯তম আবর্তনের শিক্ষার্থী আলী জাকি শাহরিয়ার বলেন, ‘যেকোনো অপরাধের মূলেই আমরা মাদকের ভূমিকা দেখতে পাই। বিশ্ববিদ্যালয়ে ছিনতাই, চুরির পেছনেও মাদকের ভূমিকা স্পষ্ট। আমরা দেখেছি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শুরু থেকেই মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছে এবং বিশেষ করে থার্টি-ফাস্ট নাইটে আতশবাজি, মাদকসেবন ও উশৃঙ্খল কর্মকান্ড রোধে যথাযথ ভূমিকা পালন করেছে, তাদের এহেন প্রশংসিত কর্মকাণ্ডের জন্য আমরা ফুলেল শুভেচ্ছা জানাই। আশা করি প্রশাসন এমন ইতিবাচক কর্মকাণ্ড অব্যহত রাখবে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. কামরুল আহসান বলেন, ‘তোমরা নৈতিকতার জায়গা থেকে এসেছো দেখে খুবই ভালো লাগছে। নতুন শিক্ষার্থীরা যাতে মাদকের সাথে যুক্ত না হয় এইজন্য সচেতনতা মূলক কাজ তোমাদেরও যেমন করতে হবে, আমরাও করবো। প্রতিটা হলে সেমিনারের মাধ্যমে মাদকের ক্ষতিকারক দিক তুলে ধরতে হবে। মাদক গ্রহণের স্থান গুলোতে দুই দিনের ভিতর লাইট লাগানোর ব্যবস্থা করা হবে। আশা করি তোমাদের সহযোগিতা পেলে আমরা যথাযথভাবে মাদক নিয়ন্ত্রণ করতে পারবো এবং নতুন শিক্ষার্থীরা মাদকে আসক্ত না হতে পারে সে ব্যাপারে সচেষ্ট থাকবো।’
ইএইচ