বাংলাদেশ সচিবালয়ের ১ নং গেটের সামনে পুলিশের সাথে প্রাইম এশিয়া ইউনিভার্সিটির শতাধিক শিক্ষার্থীর ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) সচিবালয়ের সামনে এমন ঘটনা ঘটেছে।
স্থায়ী ক্যাম্পাস ও ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যানের পদত্যাগসহ ৯ দফা দাবিতে আজ দুপুর আড়াইটার দিক থেকে প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনের রাস্তায় অবস্থান নেন। তারা সেখানে ৩০ মিনিটের মতো ছিলেন। পরে শিক্ষা ভবনের দিকে তারা চলে যান।
ঘটনাস্থল থেকে জানা গেছে, শিক্ষা উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে প্রাইম এশিয়া ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের পক্ষে চার সদস্যদের একটি প্রতিনিধিদল ভেতরে যান। শিক্ষা উপদেষ্টার সাথে তাদের বেলা ৪টা ৩০ মিনিটে সাক্ষাতের কথা ছিল। বাইরে অপেক্ষা করছিলেন শতাধিক শিক্ষার্থী। অপেক্ষারত সেসব শিক্ষার্থীরাই পুলিশের সাথে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। পরে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পরে পুলিশ দুই রাউন্ড ফাঁকা গুলিও ছোড়ে।
অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের টেক্সটাইল বিভাগের শিক্ষার্থী আবির বলেন, দীর্ঘদিন ধরে স্থায়ী ক্যাম্পাসের আশ্বাস দিচ্ছে কিন্তু কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে না। পাশাপাশি ৩০০ ফিটে আমাদের স্থায়ী ক্যাম্পাসের জন্য অল্প একটু জায়গা আছে সেটি গোপনে বিক্রির চেষ্টা করছে। এটি জেনে আমরা অস্তিত্ব রক্ষায় রাজপথে এসেছি। আমরা জানতে পেরেছ ৮০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে টাস্ট্রি।
তিনি বলেন, ২২ বছর ধরে আমাদের বলে আসছে স্থায়ী ক্যাম্পাস করে দিবে কিন্তু তা করছে না। বরং শিক্ষার্থীদের থেকে সেমিস্টার ফি ও বেতন বাবদ যে টাকা জমা হচ্ছে তা অবৈধ বোর্ড অব ট্রাস্টি সময়ে সময়ে সরিয়ে নিয়ে গেছে।
আইন বিভাগের শিক্ষার্থী রিয়ান বলেন, গত ২৭ আগস্ট আমাদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল পহেলা জানুয়ারির মধ্যে স্থায়ী ক্যাম্পাসে সরিয়ে নিয়ে যাবে অন্তত একটি ডিপার্টমেন্ট। অথচ একটি ইটও বসায়নি।
তিনি বলেন, অবৈধ বোর্ড অব ট্রাস্টির ইউজিসির কোন অনুমোদন নাই, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কোন অনুমোদন নাই। অথচ জোর করে তারা বসে আছে। আমাদের ভিসি নাই, ট্রেজারার নাই। ফলে কোন কাজ হচ্ছে না। আমরা ক্যাম্পাসের দাবি জানিয়ে আসছি ২৭ অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত এই দাবি জানিয়ে আসছি। সর্বশেষ টানা ১৭ দিন ধরে এই দাবি জানাচ্ছি।
অবস্থান কর্মসূচিতে প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের প্রায় ৫ শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
আরএস