বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলে নবীন শিক্ষার্থীদের উপর র্যাগিংয়ের ঘটনায় জড়িত ৫৩ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ২৮ জনকে ১ বছরের জন্য হল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
সোমবার হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মো. বজলুর রহমান মোল্যা তাদের বহিষ্কার আদেশ দেন।
বহিষ্কৃতরা সবাই ওই হলের অনার্স ও মাস্টার্সের শিক্ষার্থী।
প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মো. বজলুর রহমান মোল্যা বলেন, অভিযুক্তরা গত ১১ জানুয়ারি রাতে নতুন ভর্তিকৃত ছাত্রদের র্যাগিং করেছে। গোপনে তারা এই কাজ করেছে। পরবর্তীতে তথ্যের ভিত্তিতে ও ভুক্তভোগীদের সাথে কথা বলে আমরা তাদের শনাক্ত করেছি। অভিযুক্তরা তাদের অপরাধ স্বীকারও করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর, হলসমূহের প্রভোস্ট, শিক্ষক এবং কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনার প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্ডিন্যান্সের ৭ নম্বর ধারা মোতাবেক হল থেকে তাদের ১ বছরের জন্য বহিষ্কার করে দেয়া হয়েছে। সোহরাওয়ার্দী হলের ২৮ জন এবং নন অ্যাটাচ ২৫ জন অভিযুক্তকে শনাক্ত করা হয়েছে। ইতোমধ্যে সোহরাওয়ার্দী হলের আবাসিক ২৮ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে যাদের হলে পেয়েছি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছি এবং অন্য হলের আবাসিক কিন্তু এই হলে থাকতো সেই শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বাকৃবির প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আবদুল আলিম বলেন, র্যাগিংমুক্ত ক্যাম্পাস গড়তে বাকৃবি প্রশাসন সর্বদা বদ্ধপরিকর এবং আমরা সেভাবেই এগিয়ে যাচ্ছিলাম। কিন্তু সোহরাওয়ার্দী হলের শিক্ষার্থীরা সর্বপ্রথম গত ১১ জানুয়ারি রাতে নবীন শিক্ষার্থীদের উপর র্যাগিং করে এবং এর ফলে এক শিক্ষার্থী অজ্ঞান হয়ে পড়ে। হল প্রভোস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্ডিন্যান্স মোতাবেক তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে এবং পরবর্তীতে তদন্তের ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আরও ব্যবস্থা নিবে।
বাকৃবির সহযোগী ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ বলেন, র্যাগিংয়ের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের জিরো টলারেন্স। সোহরাওয়ার্দী হলে যে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে তার প্রেক্ষিতে আমরা ৫৩ জনকে শনাক্ত করেছি। তাদের মধ্য থেকে যাদের হলে পেয়েছি প্রভোস্টের ক্ষমতাবলে ১ বছরের জন্য হল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বোর্ড অফ রেসিডেন্স কমিটির নিকট প্রভোস্ট মহোদয় তাদের বিরুদ্ধে চিঠি প্রদান করবে এবং পরবর্তীতে প্রশাসন তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
ইএইচ