বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি (বাকৃবিসাস) বর্ষসেরা সাংবাদিক হিসেবে মনোনীত হয়েছেন আমান উল্লাহ এবং ফিচার লেখক হিসেবে মনোনীত হয়েছেন ইসরাত জাহান।
শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল হক তাদের হাতে এ সম্মাননা প্রদান করেন।
বাকৃবিসাসের দায়িত্ব হস্তান্তর ও বিদায়ী সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এ পুরস্কার তুলে দেয়া হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদের ডিন অফিসের সম্মেলন কক্ষে ওই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বাকৃবিসাস।
সাংবাদিক সমিতি সূত্রে জানা যায়, বছরব্যাপী জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত সংবাদ ও ফিচারের গুণগত মান, জাতীয় প্রেক্ষাপটে প্রভাব, লেখার ধরন এবং সংখ্যা বিবেচনা করে প্রতিবছর বর্ষসেরা সাংবাদিক ও ফিচার লেখক পুরস্কার দেওয়া হয়। দায়িত্ব হস্তান্তর অনুষ্ঠানে নতুন কমিটি ঘোষণার পাশাপাশি বর্ষসেরা সাংবাদিক ও ফিচার লেখকের নাম ঘোষণা করা হয়।
সাংবাদিক সমিতির সদ্য বিদায়ী সাধারণ সম্পাদক তানিউল করিমের সঞ্চালনায় এবং সদ্য বিদায়ী সভাপতি রাফি উল্লাহ ফুয়াদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল হক এবং ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার ড. মো. হেলাল উদ্দীন।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক এবং বিভিন্ন শাখার পরিচালকবৃন্দ।
জানা যায়, এ বছর মনোনয়ন চূড়ান্ত করতে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়, যেখানে সাংবাদিক সমিতির সাবেক ও বর্তমান সদস্যরা ছিলেন।
আমান উল্লাহ বর্তমানে সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক এবং দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকার ক্যাম্পাস প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছেন। ইসরাত জাহান প্রথম আলো পত্রিকার বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি এবং সাংবাদিক সমিতির যুগ্ম সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। বাকৃবিসাসের ইতিহাসে তিনি প্রথম নারী সাংবাদিক।
আমান ও ইসরাত দুজনেই ২০২১ সালে শিক্ষানবিশ সাংবাদিক হিসেবে যাত্রা শুরু করেন।
বর্ষসেরা সাংবাদিক হিসেবে পুরস্কার পাওয়া নিয়ে আমান উল্লাহ বলেন, সাংবাদিক সমিতিকে নিজের পরিবার মনে করে সারাবছর কাজ করেছি। কাজের স্বীকৃতি অবশ্যই অনেক অনুপ্রেরণা জোগায় এবং এই স্বীকৃতি প্রদানের জন্য সকলকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। বর্তমানে আমার ওপরে যে গুরুদায়িত্ব অর্পিত হয়েছে তা সঠিকভাবে পালন করতে চাই এবং এ কাজে সকলের সহযোগিতা আশা করছি।
বর্ষসেরা ফিচার লেখক নির্বাচিত হওয়া নিয়ে ইসরাত জাহান বলেন, বর্ষসেরা ফিচার লেখক হিসেবে আমাকে বাছাই করার জন্য আমি কৃতজ্ঞ। পত্রিকার পাতায় প্রকাশিত লেখার গুরুত্ব অপরিসীম। বিশেষ করে ফিচারের মাধ্যমে যে কোনো ঘটনার ইতিবাচক দিকগুলো সুকৌশলে তুলে ধরা যায়। এবছরের কয়েকটি ফিচারে পাঠকের দারুণ সাড়া পেয়েছি, যা আমাকে আরও অনুপ্রেরণা দিয়েছে। তবে এ অর্জন একার নয়। আমার কাজে যারা সহযোগিতা করেছেন, তারাই এই অর্জনের অংশীদার।
ইএইচ