বর্ণিল পথ আলপনা, কেক কাটা, পিঠা উৎসব, পোস্টার প্রেজেন্টেশন, বেলুন উড়ানো, আনন্দ শোভাযাত্রা, আলোচনা সভাসহ নানা আয়োজনে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) ১৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করা হয়েছে।
শনিবার সকাল ৯টায় প্রশাসনিক ভবনের সম্মুখে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল মজিদ জাতীয় পতাকা এবং কোষাধ্যক্ষ বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের কর্মসূচি শুরু হয়।
সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে প্রধান ফটক থেকে আনন্দ শোভাযাত্রা শুরু হয়। শোভাযাত্রা শেষে বেলুন উড়িয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন যবিপ্রবির উপাচার্য।
উদ্বোধন শেষে যবিপ্রবি উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষ মহোদয়সহ আগত অন্যান্য অতিথিরা বিভিন্ন বিভাগের পোস্টার প্রেজেন্টেশন, পিঠা উৎসবের স্টল ও পথ আল্পনাসমূহ পরিদর্শন করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৭টি বিভাগ, ভেটেরিনারি মেডিসিন অনুষদ, অ্যালামনাই এ্যাসোসিয়েশন, বিল্পব-২৪, উদ্যোক্তা স্টলসহ পিঠার বাহারী নামকরণ করে। স্টলগুলোতে নানা ধরণ, বাহারী আকৃতি ও ঋতু বৈচিত্র্য অনুযায়ী সুস্বাদু পিঠার পসরা দেখে সবাই চমৎকৃত হন।
ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. মীর মোশারফ হোসেনের সভাপতিত্বে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম, ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যবিপ্রবির ডিনস কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. জাফিরুল ইসলাম, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও সম্মানিত রিজেন্ট বোর্ড সদস্য অধ্যাপক নার্গিস বেগম, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মো. আমজাদ হোসেন, রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. আহসান হাবিব, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যশোরের আহ্বায়ক রাশেদ খান।
এছাড়া অনুষ্ঠানে বিভিন্ন অনুষদের ডিন, চেয়ারম্যান, দপ্তর প্রধানবৃন্দ, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের সহকারী পরিচালক এ. এইচ. এম শাহারিয়ার। বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও অতিথি শিল্পীদের অংশগ্রহণে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়।
ইএইচ