পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পবিপ্রবি) প্রথমবারের মতো যাত্রা শুরু করতে যাচ্ছে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় রিসার্চ সোসাইটির।
দক্ষিণবঙ্গের জ্ঞানসাগর হিসেবে পরিচিত পবিপ্রবি একটি বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয়, যেখানে কৃষি, প্রযুক্তি ও আইন ও ভূমি প্রশাসন বিষয়ে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের গবেষণার খ্যাতি দেশজুড়ে। যদিও এতদিন বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন বিষয়ে গবেষণা চলত ব্যক্তিগত উদ্যোগে বা নির্দিষ্ট অনুষদের ভিত্তিতে। এবার সেই গবেষণাকে এক ছাতার নিচে আনার লক্ষ্যেই গঠিত হচ্ছে রিসার্চ সোসাইটি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টি ও খাদ্য বিজ্ঞান অনুষদের ২১-২২ সেশনের শিক্ষার্থী মো. জয় ভাঙ্গীর উদ্যোগে এ রিসার্চ সোসাইটির যাত্রা শুরু হয়েছে। প্রথমেই তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মো. জিল্লুর রহমানের পরামর্শ নেন এবং রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং সেন্টারের পরিচালক প্রফেসর ড. মো. মামুন-উর-রসিদের মৌখিক অনুমোদন নিয়ে সোসাইটি গঠনের প্রাথমিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেন।
পরবর্তী সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পটুয়াখালী ও বরিশাল ক্যাম্পাসের বিভিন্ন অনুষদের শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি নিয়ে প্রাথমিক আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। একইসঙ্গে, সাম্প্রতিক গবেষণার সঙ্গে যুক্ত শিক্ষকদের উপদেষ্টা হিসেবে আমন্ত্রণ জানানো হলে তারা ইতিবাচক সাড়া দেন এবং পবিপ্রবি রিসার্চ সোসাইটির উপদেষ্টা হিসেবে যুক্ত হওয়ার হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেন।
এছাড়া, পবিপ্রবি রিসার্চ সোসাইটি যেন জাতীয় পর্যায়ে গবেষণা কার্যক্রমে অংশ নিতে পারে, সে লক্ষ্যে এটি বাংলাদেশ রিসার্চ সোসাইটির সদস্যভুক্ত হয়েছে।
বর্তমানে সোসাইটির গঠনতন্ত্র চূড়ান্ত করা হয়েছে।
এ বিষয়ে রিসার্চ সোসাইটির উদ্যোক্তা মো. জয় ভাঙ্গী বলেন, ‘আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের রিসার্চের খ্যাতি দেশ ছাপিয়ে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে হলেও সাধারণ অনেক শিক্ষার্থী রিসার্চ এ যুক্ত হওয়ার সুযোগ পাননি। আর রিসার্চকে এক ছাতায় আনা যায়নি বলে রিসার্চ এর ব্যাপকতাও ছিল সীমাবদ্ধ। তাই আমার এই উদ্যোগ। আমরা পবিপ্রবি রিসার্চ সোসাইটির গঠনতন্ত্র বাংলাদেশ রিসার্চ সোসাইটির পরামর্শক্রমে প্রস্তুত করেছি, যাতে এটি জাতীয় মান বজায় রাখতে পারে। আমরা খুব স্বল্প সময়ের মধ্যেই কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছি।’
রিসার্চ সোসাইটি গঠনের ক্ষেত্রে কোনো প্রতিবন্ধকতা এসেছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা আমাদের ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন এবং সর্বোচ্চ সহযোগিতা করছেন। যদিও কিছু শিক্ষার্থী বিষয়টিকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, তবে শিক্ষকরা পাশে থাকার ফলে তারা সে সুযোগ পায়নি।’
ইএইচ