ইবিতে ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগের ষষ্ঠ পুনর্মিলনী

ইবি প্রতিনিধি: প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২৫, ০৩:১১ পিএম
ইবিতে ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগের ষষ্ঠ পুনর্মিলনী

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগে আলোচনা সভা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ নানা আয়োজনের মধ্যে দিয়ে ষষ্ঠ পুনর্মিলনী-২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সকালে বেলুন উড়িয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বিভাগটি।

ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. শরীফ মো: আল-রেজার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম এয়াকুব আলী। 

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম,ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগ অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের (ইবি)সভাপতি  অধ্যাপক ড.হাফিজুর রহমান এবং সাধারণ সম্পাদক মো: শাহনেওয়াজ রশিদসহ বিভাগের অন্যান্য শিক্ষক, অ্যালামনাই এবং বিভাগের শিক্ষার্থীবৃন্দ।

একজন প্রাক্তন তার অনুভূতি ব্যক্ত করে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে অনেক বন্ধুদের সাথে একত্রিত হওয়া হয়নি। আল্লাহ তায়ালা এই পুনর্মিলনীর মাধ্যমে আমাদের একত্রিত হওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে। দিনটি স্মরণীয় হয়ে থাকবে। মনে হচ্ছে আবার সেই অতীতে ফিরে গেছি। কমিটির কাছে আহ্বান থাকবে তারা যেন মাঝে মধ্যেই এমন আয়োজন করে।

আলোচনা সভায় কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মাদ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমাদের অনেক শিক্ষার্থী বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে কর্মরত আছে। তারা যদি বর্তমান অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের দিকনির্দেশনা দেয় যে তোমরা এমন চেষ্টা করলে এমন জায়গায় যেতে পারবে, তাহলে তারা অনুপ্রাণিত হবে। চাকরির ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম ছড়িয়ে দিতে গেলে অ্যালামনাইদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। আশা করি, অ্যালামনাইরা সেই ভূমিকা রাখবে এবং বিভাগকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সহযোগিতা করবে।

অনুষ্ঠানে উপ উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম এয়াকুব আলী বলেন, ক্যাম্পাসের সিন্ডিকেট বডি,প্রশাসনিক বডি এবং একাডেমিক কারিকুলাম বডিতে যদি এলামনাইদের সদস্য রাখা হয় তাহলে শিক্ষাকার্যক্রমের গুণগত মান উন্নয়ন করা যাবে। কর্মক্ষেত্রে যেসব সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় সেগুলোর অভিজ্ঞতা অনুজদের জানাতে পারে। এছাড়া শক্তিশালী অ্যালামনাই ক্যাম্পাসের ভাবমূর্তি আর উজ্জ্বল করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

তিনি আরও বলেন,স্বাধীনতা পরবর্তী প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় হওয়ার পরও খুবি শাবিপ্রবির চেয়ে প্রযুক্তি এবং কাঠামোগতভাবে পিছিয়ে আছি। সাধারণ শিক্ষা এবং ইসলামী শিক্ষার মেলবন্ধনে যে উৎপাদনমুখী যুগোপযোগী ক্যাম্পাস গড়ার লক্ষ্য ছিল, সেটা থেকে পিছিয়ে আছি। সুতরাং আমরা যদি বিশ্ববিদ্যালয়কে তার লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্যের দিকে ফিরিয়ে আনতে চাই তাহলে এলামনাইদের আরো শক্তিশালী হতে হবে।

বিআরইউ