জবি শিক্ষক মিল্টন বিশ্বাসকে আটকের পর প্রক্টর দপ্তরে হস্তান্তর

জবি প্রতিনিধি প্রকাশিত: মার্চ ৫, ২০২৫, ০৭:৩১ পিএম
জবি শিক্ষক মিল্টন বিশ্বাসকে আটকের পর প্রক্টর দপ্তরে হস্তান্তর

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) বাংলা বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক মিল্টন বিশ্বাসকে আটক করেছেন শিক্ষার্থীরা।

বুধবার বিকাল সাড়ে চারটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবনের সামনে থেকে তাকে আটক করা হয়।

প্রত্যক্ষদর্শী ও শিক্ষার্থীদের সূত্রে জানা গেছে, ২৪ সালের ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হামলার ঘটনায় মিল্টন বিশ্বাসের বিরুদ্ধে দুটি মামলা রয়েছে। এ মামলা থেকে অব্যাহতি চেয়ে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রইছ উদ্দিনের কাছে একটি আবেদনপত্র জমা দিতে আসেন। তার সঙ্গে সুশান্ত বিশ্বাস নামে এক ব্যক্তি ছিলেন, যিনি নিজেকে তার আত্মীয় বলে পরিচয় দেন। তবে তিনি নিজেকে ছাত্রদলের নেতা হিসেবে পরিচয় দিলেও সংগঠনে তার কোনো পদ নেই বলে জানা গেছে।

শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, মিল্টন বিশ্বাস বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সদস্য আবু বকর এবং সাবেক সাংবাদিক নেতা সুজাউদ্দিন সুজার সঙ্গে যোগাযোগ করে ক্যাম্পাসে এসেছেন। এছাড়া সুশান্ত বিশ্বাসের মোবাইলে আবু বকরের নম্বর পাওয়া যায়, যা নিয়ে শিক্ষার্থীদের সন্দেহ সৃষ্টি হয়।

এ বিষয়ে অধ্যাপক মিল্টন বিশ্বাস বলেন, "আমার নামে দুটি মামলা রয়েছে, সেগুলো থেকে অব্যাহতি চেয়ে আমি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক রইছ উদ্দিন স্যারের কাছে আবেদনপত্র জমা দিতে এসেছিলাম। ক্যাম্পাসে আসার আগে আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সাংবাদিক নেতা সুজাউদ্দিন সুজা ও আলামিনের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি।"

অন্যদিকে, ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক নাছির উদ্দীন বলেন, "বিশ্ববিদ্যালয়ের যেকোনো শিক্ষক বা শিক্ষার্থী আমার সঙ্গে দেখা করতে চাইলে আমি তো তা প্রত্যাখ্যান করতে পারি না। মিল্টন স্যারও একজন শিক্ষক হিসেবে দেখা করতে পারেন।"

এ বিষয়ে সুশান্ত বিশ্বাস বলেন, "আমি ছাত্রদলের কেউ নই। মিল্টন বিশ্বাসের সঙ্গে এসেছিলাম। এটা আমার ভুল হয়েছে।"

অন্যদিকে, জবি ছাত্রদলের আহ্বায়ক সদস্য আবু বকর বলেন, "সুশান্ত বাড়ি আমার জেলায়, তবে তার সঙ্গে আগে কোনো যোগাযোগ ছিল না। ক্যাম্পাসে আসার পর তার সঙ্গে আমার পরিচয় হয়।"

শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রইছ উদ্দিন বলেন, "মিল্টন বিশ্বাস আমার কাছে মামলা বাতিলের আবেদন নিয়ে আসেন। আমি তাকে বলি, এটি শিক্ষক সমিতির অফিসে জমা দিতে। পরে তিনি চলে যাওয়ার পর এ ঘটনা ঘটে।"

শিক্ষার্থীদের হাতে আটক মিল্টন বিশ্বাস ও জনকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিসে রাখা হয়েছে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ তাজামুল হক বলেন, "যেহেতু বিষয়টি প্রক্টর দপ্তরে আছে, তাই সাধারণ শিক্ষার্থীদের সরে যাওয়া উচিত। যদি কেউ অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকে, তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"

ইএইচ