জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে চলমান বৈষম্য, অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার থেকেও শিক্ষার্থীরা প্রতিকার না পাওয়ায় এবং শিক্ষার্থীদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট দাবিগুলোর বিষয়ে প্রশাসনের জরুরি অবস্থান ও রোডম্যাপ প্রকাশের দাবিতে ৮ দফা দাবি উত্থাপন করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, জবি শাখা এবং বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ।
বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি উত্থাপন করা হয়।
যৌথভাবে সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র নওশীন নাওয়ার জয়া এবং কেন্দ্রীয় গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের যুগ্ম আহ্বায়ক কিশোর সাম্য। বক্তারা জানান, দ্রুত সময়ের মধ্যে দাবি বাস্তবায়ন না হলে তীব্র আন্দোলনের ডাক দেওয়া হবে।
লিখিত বক্তব্যে নওশীন নাওয়ার জয়া বলেন, “৫ আগস্ট থেকে শিক্ষার্থীবান্ধব ও ন্যায়সঙ্গত দাবিগুলো উত্থাপন করে আসলেও দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে কার্যকর কোনো অগ্রগতি দেখা যায়নি, যা আমাদের হতাশ করেছে।”
তিনি আরও বলেন, “চলমান বৈষম্য, অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীরা সোচ্চার থাকলেও কোনো বাস্তব প্রতিকার মিলছে না। প্রশাসনের সর্বশেষ অবস্থানের ভিত্তিতে একটি সুস্পষ্ট রোডম্যাপ ও আমাদের দাবিগুলোর পূর্ণ বাস্তবায়নের আহ্বান জানাই।”
কিশোর সাম্য বলেন, “এই ৮ দফা দাবি বাস্তবায়ন না হলে আমরা বৃহত্তর ছাত্রসমাজের পক্ষ থেকে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করতে বাধ্য হব।”
উল্লেখযোগ্য ৮ দফা দাবিগুলো হলো-
১. ফ্যাসিস্ট হামলাকারী ও ইন্ধনদাতাদের বিচারের আওতায় আনা।
২. আহত শিক্ষার্থীদের সকল অ্যাকাডেমিক ফি মওকুফ।
৩. গত ১৫ বছরে সকল নিয়োগ প্রক্রিয়ার স্বচ্ছ তদন্ত ও প্রতিবেদন প্রকাশ।
৪. দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ দ্রুত সম্পন্ন এবং অগ্রগতির প্রতিবেদন প্রকাশ।
৫. ২০ কার্যদিবসের মধ্যে সকল দুর্নীতির বিষয়ে শ্বেতপত্র উপস্থাপন।
৬. শিক্ষার্থীদের আবাসন সংকট নিরসন, আবাসন বৃত্তি প্রদান ও আনুপাতিক বাজেট বরাদ্দ।
৭. সমাবর্তনের দ্রুত আয়োজন।
৮. তিন কর্মদিবসের মধ্যে জকসুর নীতিমালা ও নির্বাচনী রোডম্যাপ প্রকাশ।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন জবি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক মাসুদ রানা, সদস্য সচিব সিফাত হাসান সাকিবসহ কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যান্য নেতাকর্মীরা।
ইএইচ