শিক্ষার্থীদের টানা আন্দোলনের মুখে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) উপাচার্য অধ্যাপক মুহাম্মদ মাছুদ এবং উপ-উপাচার্য অধ্যাপক এস কে শরিফুল আলম পদত্যাগ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
বর্তমানে পদত্যাগপত্র গ্রহণের আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া চলছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সূত্র জানায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক কার্যক্রমে ফেরার লক্ষ্যে জ্যেষ্ঠ অধ্যাপকদের মধ্য থেকে একজনকে অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হবে। শিগগিরই সার্চ কমিটি গঠন করে স্থায়ী নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হবে।
সম্প্রতি কুয়েটে ঘটে যাওয়া কিছু ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষার্থীরা উপাচার্য উপ-উপাচার্যের অপসারণের দাবি জানিয়ে শুরু করেন টানা আন্দোলন ও অনশন। দাবির প্রতি সাড়া দিয়ে সরকার জানায়, সংকট নিরসনে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতির প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে।
দাবি পূরণে ইতিবাচক অগ্রগতি হওয়ায় ৫৮ ঘণ্টার অনশন ভেঙেছেন কুয়েট শিক্ষার্থীরা। আনন্দের পাশাপাশি তাঁরা তাদের দাবি আদায়ে ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ের মূল্যায়ন করেন।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “সাম্প্রতিক ঘটনাবলির আলোকে কুয়েটের শিক্ষা কার্যক্রম দ্রুত পুনরায় শুরু করতে উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি প্রদান এবং নতুন নিয়োগের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।”
বিআরইউ