নির্বাচন কমিশন রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মাঝে যদি সহনশীলতা জাগ্রত করা না যায়, তাহলে সংকট থেকে যাবে। নির্বাচন যখন হাড্ডাহাড্ডি হয়, তখন ভোটের শেষে মারামারিটা হয় বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ধারাবাহিক সংলাপের দশমদিনে গণফোরামের সঙ্গে বৈঠকে এ মন্তব্য করেন সিইসি। গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি মোকাব্বির খান নেতৃত্বে ১০ জন সদস্য সংলাপে অংশ নেন। তারাও অন্য দলগুলোর মতো লিখিত বেশ কিছু প্রস্তাব দেয়।
সিইসি বলেন, নির্বাচনে মাঠে সব রাজনীতি দল সক্রিয় থাকলে কোনো অপশক্তি মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারবে না। কালকে একটা ঘটনা ঘটেছে (ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈলে)। একটা বাচ্চা মারা গেছে। রাত ১০টা-১১টার দিকে ফোন করেছি ডিসি, এসপিকে যে কী হলো। নির্বাচনটা শেষ হয়ে গিয়েছিল এবং মেম্বার প্রার্থী হামলা করে বসলো।
তিনি বলেন, আমাদের মনস্তাত্ত্বিক সমস্যা আছে, আমি নির্বাচন করবো এবং আমাকে জিততেই হবে। হারতে যে হতে পারে, এটা কিন্তু কেউ মেনে নিচ্ছে না। মনস্তাত্ত্বিক দৈন আমাদের মধ্যে আছে। তাই সহনশীলতা যদি জাগ্রত করা না যায় তাহলে সংকট থেকে যাবে।
কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, রাজনীতি আপনারা নিয়ন্ত্রণ করেন। রাজনীতির সংস্কৃতি ধারণ করা, লালন করা আপনাদের দায়িত্ব। আপনাদের দায়িত্ব অনেক বড়। আপনাদের কাছে ছোট কিন্তু আমাদের কাছে অনেক বড়। আপনাদের বক্তব্য শুনেছি। চিন্তা-ভাবনা করে সিদ্ধান্ত নেবো।
তিনি আরও বলেন, আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু, সঠিক, সুস্থ, অংশগ্রহণমূলক এবং অবাধ ও নিরপেক্ষ হবে।আমরা আমাদের দায়িত্ব বলতে চাচ্ছি না। আমরা রাজনৈতিক নেতৃত্বে নেই এবং প্রশাসনিক সংগঠন। আমাদের কাজ হবে নির্বাচনে যাতে ভোটাররা নির্বিঘ্নে গিয়ে তাদের ভোটাধিকার স্বাধীনভাবে প্রয়োগ করতে হবে, এই ব্যাপারে আমরা চেষ্টা করবো সর্বাত্মক।
আপনাদেরও সহযোগিতা চাইবো। আপনাদের আমাদের সঙ্গে থাকতে হবে। নির্বাচনের মাঠে যদি আপনারাও থাকেন, আমরাও যদি থাকি, তাহলে কোনো অপশক্তিকে প্রতিহত, প্রতিরোধ করা সহজ হবে।
গণফোরামের নির্বাহী সদস্য মোকাব্বির খানের নেতৃত্বে সংলাপে ১১ সদস্যের প্রতিনিধি দল, অন্য চার নির্বাচন কমিশনার ও ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আমারসংবাদ/টিএইচ