ফিলিস্তিনে গণহত্যার প্রতিবাদে মালয়েশিয়ায় ইসরায়েলী জাহাজ নিষিদ্ধ

মালয়েশিয়া প্রতিনিধি প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২০, ২০২৩, ০৯:০৭ পিএম
ফিলিস্তিনে গণহত্যার প্রতিবাদে মালয়েশিয়ায় ইসরায়েলী জাহাজ নিষিদ্ধ

ফিলিস্তিনে অব্যাহত ভাবে বর্বর ইসরায়েলী কর্তৃক নৃশংস গণহত্যার প্রতিবাদে মালয়েশিয়ার বন্দর ও সমুদ্র এলাকায় ইসরায়েলী সব ধরনের জাহাজ চলাচল ও পন্য উঠানামা নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী দাতুক সেরী আনোয়ার ইব্রাহিম। সেই সাথে মালয়েশিয়ার সমুদ্র বন্দরে থাকা ইসরাইলী জাহাজ ও কন্টেইনারের মাধ্যমে পন্য উঠানামার দায়িত্ব থাকা  ইসরায়েলী অপারেটিং কোম্পানি জেআইএম কে অনতিবিলম্বে মালয়েশিয়া ত্যাগ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (২০ ডিসেম্বর) দুপুর ২টায় দেশটির সকল গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি তে এ তথ্য জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী দাতুক সেরী আনোয়ার ইব্রাহিম। এবিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য মালয়েশিয়ার পরিবহন ও যোগাযোগ মন্ত্রীকে নির্দেশনা  দেওয়া হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরেই ইসরায়েলের সাথে মালয়েশিয়ার কোন কুটনৈতিক সম্পর্ক না থাকায় এখনই  বর্বর  ইসরায়েল এর বিরুদ্ধে স্থায়ী নিষেধাজ্ঞারও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।  

এর কারণ হিসেবে তিনি ব্যাখ্যা করেছেন যে,  ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ক্রমাগত গণহত্যা ও নৃশংসতার মাধ্যমে মৌলিক মানবিক নীতির প্রতি ইসরায়েলের অবহেলা এবং আন্তর্জাতিক আইন সুস্পষ্ট লঙ্ঘনের প্রতিক্রিয়া হিসেবে এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে এবং এই নিষেধাজ্ঞা স্থায়ী করা হবে।

মালয়েশিয়া এখন পর্যন্ত কুটনৈতিক ভাবে  ইসরায়েল  কে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়নি।  বিগত ২০০২ সালে অভ্যন্তরীন ও আন্তর্জাতিক বানিজ্য প্রসারের জন্য মালয়েশিয়ার মন্ত্রীসভার এক স্বিদ্বান্ত মোতাবেক প্রথম দেশটির সব বন্দরে ইসরায়েলী পতাকাবাহী জাহাজ নোঙর করা ও পন্য পরিবহনের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। এর প্রায় ২০ বছর পর এই অনুমতি প্রত্যাহার করে নেওয়া হল।

প্রধানমন্ত্রী জোর দিয়ে বলেন যে, মালয়েশিয়া ইস্রায়েলের পতাকাবাহী যে কোন জাহাজ এই সমুদ্রপথে ও  বন্দরে কার্গো লোড আনলোড  করা নিষিদ্ধ থাকবে। আনোয়ার বলেন, "মালয়েশিয়া নিশ্চিত যে এই সিদ্ধান্ত মালয়েশিয়ার বাণিজ্য কার্যক্রমকে প্রভাবিত করবে না।

এইচআর