নিউ ইয়র্কে সুচিত্রা সেন আন্তর্জাতিক বাংলা চলচ্চিত্র উৎসব

ইমা এলিস: প্রকাশিত: এপ্রিল ২১, ২০২৪, ১১:৩৪ এএম
নিউ ইয়র্কে সুচিত্রা সেন আন্তর্জাতিক বাংলা চলচ্চিত্র উৎসব

নিউ ইয়র্কে উপমহাদেশের বাংলা চলচ্চিত্রের মহানায়িকা সুচিত্রা সেনের ৯৩তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে দুই দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব শুরু হয়েছে। স্থানীয় সময় শনিবার (২০ এপ্রিল) সকালে নিউ ইয়র্কের জ্যামাইকা পারফরমিং আর্টস সেন্টারে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন চিত্রনায়ক ও সংসদ সদস্য ফেরদৌস আহমেদ।

শনিবার সকাল ১১টা থেকে চলচ্চিত্র প্রদর্শনী শুরু হয়। বাংলাদেশ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গের জনপ্রিয় চিত্রনায়ক, নায়িকা এবং আমন্ত্রিত অতিথিরা একসঙ্গে বসে বিভিন্ন ছবি উপভোগ করেন। দুই দিনের এ উৎসবে বিনামূল্যে দেখানো হবে বাংলাদেশ ও ভারতের ৩৯টি চলচ্চিত্র প্রদর্শন করা হবে বলে জানা গেছে। দুই দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক এ চলচ্চিত্র উৎসবের আয়োজন করেন সুচিত্রা সেন মেমোরিয়াল, ইউএসএ নামের একটি সংগঠন।

আয়োজকরা জানান, বাংলাদেশের পাবনা জেলার মেয়ে সুচিত্রা সেনের বাংলা চলচ্চিত্রের অবদানকে পৃথিবীময় ছড়িয়ে দিতে তাঁর ৯৩তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে দুই দিনব্যাপী এ উৎসবের আয়োজন করা হয়। বাঙালি সংস্কৃতি এবং চলচ্চিত্রের জন্য সুচিত্রা সেনের অবদানকে নতুন প্রজন্মের মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়াই এ আয়োজনের মূল উদ্দেশ্য। ভারত ও বাংলাদেশেসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের ৪০৯টি ছবি অনুষ্ঠানে প্রদর্শনের জন্য জমা পড়লেও তার মধ্যে থেকে বিচারকমণ্ডলীর মাধ্যমে ৩৯টি ছবি প্রদর্শনের জন্য বাছাই করেন। এ উৎসবে কোনো প্রবেশ মূল্য নেই বলে জানান আয়োজকরা।

২০ এপ্রিলের এ উৎসবে চিত্রনায়ক ও সংসদ সদস্য ফেরদৌস আহমেদ ছাড়াও চঞ্চল চৌধুরী, বাঁধন, জয়, ভারতের ঋতুপর্ণা সেন, রেশমি মিত্রসহ শতাধিক চিত্রনায়ক নায়িকা, পরিচালকসহ সিনেমাপ্রেমীরা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, গত ৬ এপ্রিল ছিল সুচিত্রা সেনের জন্মদিন। ১৯৩১ সালের এই দিনে পাবনা জেলায় জন্ম নেন তিনি। নয় ভাইবোনের মধ্যে সুচিত্রা ছিলেন পঞ্চম। বাড়ির ছোটরা ডাকতেন রাঙাদি বলে। মা-বাবা নাম রেখেছিলেন রমা। পরিচালক সুকুমার দাশগুপ্তের সহকারী নীতীশ রায় তা বদলে রাখেন সুচিত্রা। কিন্তু পাবনার মহাকালী পাঠশালায় খাতায় কলমে তাঁর নাম ছিল কৃষ্ণা দাশগুপ্ত। মহাকালী পাঠশালায় পড়ালেখা শেষ করে সুচিত্রা সেন স্থানীয় পাবনা বালিকা বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ালেখা করেন।

উচ্চ মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্ম নেয়া সুচিত্রা সেন ১৯৪৭ সালে দেশ ভাগের ক’মাস আগে বাবা করুণাময় পাবনার বাড়ি-ঘর, চাকরি সবকিছু ফেলে সপরিবারে ভারত চলে যান।

বিআরইউ