কোটা সংস্কারের জেরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন, সহিংসতা এবং পরবর্তী সময়ে সরকার পরিবর্তনের মধ্যে দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশের সৃষ্টি হয়ে ছিল। আন্দোলন ঘিরে প্রবাসীদের অনেকেই বৈধ চ্যানেলে টাকা না পাঠানোর হুঁশিয়ারিও দিয়েছিলেন। তবে এখন নব্য গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারকে সহযোগিতায় বৈধ পথে টাকা পাঠাতে চান প্রবাসীরা।
ছাত্র-ছাত্রীদের যোক্তিক আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দুর্বৃত্তরা রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা ও ভাঙচুর চালিয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত এসব স্থাপনা মেরামত ও দেশ পুনর্গঠনে ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স পাঠাতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন কুয়েত প্রবাসীরা।
কুয়েত প্রবাসীরা, দেশের সংকটকালীন পরিস্থিতি মোকাবিলায় রির্জাভ বৃদ্ধিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে থাকা প্রবাসীদেরকেও বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠাতে অনুরোধ জানান।
আওয়ামী লীগ সরকার এই আন্দোলনকে রুখতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, মোবাইল ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ করে দেওয়ায় পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় কুয়েত প্রবাসীদের। বেশ কিছুদিন দেশে থাকা স্বজনদের খোঁজখবর নিতে পারেননি তারা। ফলে তাদের অনেকেই ছাত্র আন্দোলনের পক্ষে সোস্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা চালান। ফেসবুক, টিকটকে অনেক প্রবাসী বৈধ পথে ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স পাঠাবে না বলে কড়া হুঁশিয়ারি দেন এবং অন্য প্রবাসীদেরকেও না পাঠাতে নিষেধ করেন।
মধ্যপ্রাচ্যে থাকা প্রবাসীদের অনেকেই স্বল্প আয়ের সাধারণ শ্রমিক। তাদের কেউ মারা গেলে মরদেহ সরকারি খরচে প্রেরণ করতে পারা, যাতায়াতে বিমানবন্দরে হয়রানি, সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে হয়রানি এবং বিমানের টিকেট সিন্ডিকেট বন্ধে দ্রুত উদ্যোগ গ্রহণে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি অনুরোধ জানান কুয়েত প্রবাসীরা।
বিআরইউ