মালয়েশিয়ায় মসজিদের ভিতর মালয় ২ কন্যা শিশু কে যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে দেশটি তে বসবাসরত এক ভারতীয় নাগরিকের বিরুদ্ধে। ঐ ভারতীয় নাগরিক কে আদালতে তোলা হলে তিনি এই অভিযোগ অস্বীকার করেন। অভিযোগ প্রমাণিত হলে তার ২০ বছর কারাদণ্ড ও বেত্রাঘাত রায় হতে পারে। সোমবার(১০ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় দেশটির গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত মাসে সেগামাতের একটি মসজিদে দুই স্কুল ছাত্রীকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগে দায়রা আদালতে জামিনের জন্য ৩০,০০০ রিঙ্গিত জমা দিতে ব্যর্থ হওয়ার পর একজন ভারতীয় নাগরিক কান্নায় ভেঙে পড়েন। অভিযুক্ত, ৫৯ বছর বয়সী শেখ ফারুক যৌন নির্যাতনের দুটি অভিযোগে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন, যা বিচারক সায়ানি মোহাম্মদ নরের সামনে তাকে হিন্দিতে পড়ে শোনানো হয়।
পুলিশের মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত ৪ জানুয়ারি সন্ধ্যা ৬.২০ টার দিকে তিনি মসজিদে একটি ১০ বছর বয়সী এবং একটি ১৩ বছর বয়সী মেয়েকে যৌন নির্যাতন করেন বলে অভিযোগ রয়েছে। তাকে ২০১৭ সালের শিশু নির্যাতন আইনের ১৪(ক) ধারায় অভিযুক্ত করা হয়েছে, যেখানে দোষী সাব্যস্ত হলে সর্বোচ্চ ২০ বছরের কারাদণ্ড এবং বেত্রাঘাতের বিধান রয়েছে।
তদন্তে জানা গেছে যে, ভুক্তভোগীরা এবং তাদের পুরুষ বন্ধু সুরাউতে পানীয়ের জন্য যাওয়ার আগে কাছের একটি খেলার মাঠে ছিল। সেখানে তারা খেলা করছিল। তারা মসজিদে পানি পান করতে আসলে , প্রতিটি মেয়েকে ১ রিঙ্গিত রিঙ্গিত দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিল, তারপর সুযোগ নিয়ে তাদের উপর যৌন নিপীড়ন করেছিল।মেয়েদের পুরুষ বন্ধু ঘটনাটি প্রত্যক্ষ করে এবং পরে তাদের বাবা-মাকে জানায়, যারা সেগামাট জেলা পুলিশ সদর দপ্তরে একটি পুলিশ প্রতিবেদন দায়ের করে। সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে একই দিনে গ্রেপ্তার করা হয়।
ডেপুটি পাবলিক প্রসিকিউটর ওথমান আফফান ৫০,০০০ রিঙ্গিত জামিনের আবেদন করেন, সাথে অতিরিক্ত শর্তও থাকে, যার মধ্যে রয়েছে অভিযুক্তের পাসপোর্ট জমা দেওয়া এবং অভিযুক্তকে প্রতি মাসে নিকটতম থানায় হাজিরা দিতে হবে। কিন্তু ৩০ হাজার রিংগিত জামিনের ফি জমা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় জামিন নামঞ্জুর করে তাকে ১৮ মার্চ পরবর্তী মামলার শুনানি পর্যন্ত রিমান্ডে পাঠানো হয়েছে।
আরএস