সারাবিশ্বকে নাড়িয়ে দেওয়া গুলশানের হলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলার ঘটনার ছায়া অবলম্বনে সিনেমা ‘শনিবার বিকেল’ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রশংসা পেলেও বাংলাদেশে মুক্তিই পায়নি।
সিনেমায় অভিনয় করেছেন দেশের জনপ্রিয় তারকারা। তাদের মধ্যে অন্যতম জাহিদ হাসান, নুসরাত ইমরোজ তিশা, মামুনুর রশীদ, ইরেশ যাকের, ইন্তেখাব দিনার, গাউসুল আলম শাওন, নাদের চৌধুরী।
দেশের বাইরের অভিনেতারাও কাজ করেছেন এতে। ভারতের পরমব্রত চ্যাটার্জি, ফিলিস্তিনের ইয়াদ হুরানিসহ আরও অনেকে রয়েছেন এ সিনেমায়।
গত চার বছর ধরে সিনেমাটি সেন্সর বোর্ডে ঝুলছে। মুক্তির আবেদন জানিয়ে সাড়ে তিন বছর আগে আপিলও করেন নির্মাতা মোস্তফা সরোয়ার ফারুকী। তাতে লাভ হয়নি।
বিষয়টি নিয়ে সিনেমাসংশ্লিষ্টদের অনেকেই যখন সোচ্চার হয়েছেন, তখন রীতিমতো ক্ষোভ ঝাড়লেন অভিনেত্রী জয়া আহসান।
দেশের সেন্সর বোর্ডকে একহাত নিলেন দুই বাংলায় আলোচিত এ নায়িকা।
সেন্সর বোর্ডের কড়া সমালোচনা করে নিজের ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন জয়া। লেখেন, হলি আর্টিজানের সেই ভয়াভয় হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি কখনই আমাদের মন থেকে মুছে যেতে পারে না।
ফেসবুকে জয়া লিখেছেন, ‘সত্যি বলতে কী- এ ঘটনা কখনই আমাদের মন থেকে মুছে যেতে পারে না। মুছে যেতে দেওয়া যায়ও না। যে ঘটনার পুনরাবৃত্তি আমরা মোটেও চাই না, আমাদের ছেলেমেয়েদের সামনে থেকে যে পথ চিরকালের জন্য অবরুদ্ধ করে রাখতে চাই, হলি আর্টিজানের ঘটনা তার জোরালো সতর্কঘণ্টা হিসেবে মন থেকে মনে বাজিয়ে যেতে হবে। ঘণ্টা বাজিয়ে ঘুম থেকে আমাদের মনটাকে জাগিয়ে তোলা তো চলচ্চিত্রেরই একটি কাজ। আমরা চলচ্চিত্রের মুক্তি চাই, সব শিল্পের মুক্তি চাই। কারণ আমরা মানুষের মুক্তি চাই।’
শুধু জঙ্গি হামলার ঘটনায় নির্মিত বলে মুক্তি দেওয়া হচ্ছে না, সে প্রশ্ন রেখেছেন জয়া।
তিনি বলেন, ‘কোনো চলচ্চিত্রের কাহিনি কী হবে, তারও কি এখন প্রেসক্রিপশন নিয়ে আসতে হবে? চলচ্চিত্রের বিষয় আকাশের তলায় মাটির পৃথিবীর যে কোনো কিছু। চূড়ান্ত কল্পনা, নিরেট বাস্তব, বাস্তব থেকে অনুপ্রাণিত কল্পনা। ‘শনিবার বিকেল’ ছবিতে হলি আর্টিজানের শোচনীয় ঘটনাটির ছায়া আছে বলে? আসলেই আছে কিনা আমার জানা নেই। যদি থাকেও, তা হলেই বা ছবিটা আটকে দেওয়ার যুক্তি কি? হলি আর্টিজান ঘটেনি? আমাদের মন থেকে ধুয়ে মুছে গেছে?’
এবি