মস্কোতে দুই পুরস্কার জিতল বাংলাদেশের চলচ্চিত্র ‘আদিম’

বিনোদন ডেস্ক প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৩, ২০২২, ০৬:৫৭ পিএম
মস্কোতে দুই পুরস্কার জিতল বাংলাদেশের চলচ্চিত্র ‘আদিম’

মস্কো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের ৪৪তম আসরে ‘সিলভার সেন্ট জর্জ’ (বিশেষ জুরি পুরস্কার) এবং ‘নেটপ্যাক জুরি’ পুরস্কার জিতেছে বাংলাদেশি সিনেমা ‘আদিম’। প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র দিয়েই এই চমক দেখিয়েছেন তরুণ নির্মাতা যুবরাজ শামীম।

শুক্রবার রাতে পুরস্কার ঘোষণার মধ্য দিয়ে পর্দা নামে বিশ্বের অন্যতম প্রাচীন এই চলচ্চিত্র উৎসবের। উৎসবে ‘আদিম’ ছাড়াও ‘নো প্রায়র অ্যাপয়েন্টমেন্ট’ এর জন্য উৎসব সেরা ছবির পুরস্কার জিতে নিয়েছেন ইরানি নির্মাতা বেহরোজ শোয়েইবি। এই ছবির জন্য সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার পেয়েছেন পেগা আনগারানি।

শনিবার (৩ সেপ্টেম্বর) নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে একটি স্ট্যাটাস দিয়ে ‘আদিম’-এর অর্জিত পুরস্কার সম্পর্কে সকলকে জানিয়েছেন সিনেমাটির পরিচালক যুবরাজ শামীম।

ফেসবুক স্ট্যাটাসে তিনি লিখেছেন, “আমরা ৪৪তম মস্কো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে ‘আদিম’-এর জন্য সিলভার সেন্ট জর্জ পুরস্কার (বিশেষ জুরি পুরস্কার) জিতেছি এবং এর আগে আমি নেটপ্যাক জুরি পুরস্কার জিতেছি।

তাই মস্কোতে দুটি পুরস্কার জিতেছে চলচ্চিত্র ‘আদিম’। এই অর্জন আমি আমার বাবা শাহজাহান ভূঁইয়াকে উৎসর্গ করেছি। ”তিনি আরো লিখেছেন, ‘উৎসবের শুরু থেকেই বেহরুজ শোয়েবি এবং আমি খুব ভালো বন্ধু হয়ে গিয়েছিলাম এবং আমরা সব সময় একসঙ্গে থাকতাম। আশ্চর্যজনকভাবে তিনি গোল্ডেন সেন্ট জর্জ পুরস্কার পান এবং আমিও দ্বিতীয়টি পেলাম। ’

এ ছাড়াও ভক্ত অনুরাগীদের উদ্দেশে এই পরিচালক লিখেছেন, ‘অনেক শুভাকাঙ্ক্ষী আমাকে অভিবাদন জানিয়েছেন কিন্তু আপনারা জানেন যে এটি আমার জন্য খুব ব্যস্ত সময় ছিল এবং আমি এখন উড়তে যাচ্ছি! 

তাই আমি পরে সকলকে উত্তর দেব। দয়া করে আমাকে আপনাদের ভালোবাসায় রাখুন এবং আমি আপনাদের কাছে কৃতজ্ঞ। আরো আপডেট পেতে ফেস্টিভাল ওয়েবসাইটের সঙ্গে যোগাযোগ রাখুন। ’

উল্লেখ্য, ‘আদিম’-এর প্রিমিয়ার শো ছিল ৩০ আগস্ট। সিনেমাটি দেখে সাধারণ দর্শকসহ উৎসবের বিচারকরাও প্রশংসা করেছেন। 

যুবরাজ জানিয়েছেন, প্রিমিয়ারের পরের দিনই তার দেশে ফেরত আসার কথা থাকলেও উৎসব কর্তৃপক্ষ তাকে শেষ দিন পর্যন্ত থাকতে বলে। তখনই তিনি কিছু একটা আন্দাজ করতে পেরেছিলেন।

সিনেমাটির বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন বাদশা, দুলাল, সোহাগী, সাদেক প্রমুখ। চিত্রগ্রহণ করেছেন আমির হামযা এবং সাউন্ড ও কালারের কাজ করেছেন সুজন মাহমুদ।

 

টিএইচ