বাংলা গানের যুবরাজ খ্যাত আসিফ আকবর সোশ্যাল মিডিয়াতে বেশ সরব। নিজের কাজ ও জীবনের নানা ঘটনা সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমেই ভক্তদের কাছে শেয়ার করেন এই শিল্পী। এবার মুশফিককে নিয়ে স্ট্যাটাস দিয়েছেন তিনি।
ক্যাপশনে লিখেছেন, মুশফিকুর রহিম, আমাদের গর্বের ধন। আমার হিসেবে বাংলাদেশের হয়ে খেলা সর্বকালের সেরা উইকেটকিপিং অলরাউন্ডার। মুশফিকের সঙ্গে প্রথম পরিচয় শ্রীলঙ্কার তাজসামুদ্রা হোটেলে, এটা হয়তো ওনার মনে নেই। কুমিল্লা থেকে আমরা খেলা দেখতে গিয়েছিলাম। ছোটখাটো মানুষটা একটু রীতির বাইরেই চলতেন। আনন্দ-ফুর্তিকে অস্বীকার করার কিছু নেই, সফরে খানিক উদ্বেলিত উশৃঙ্খলতা মন্দ নয়। ক্যাপ্টেন আশরাফুলের মাধ্যমেই পরিচয়। কাজ শেষে সবাই যখন অবসর সময়টায় হালকা পার্টি মুডে থাকেন, তখনও মুশফিক সিরিয়াস। আমি নিজের চোখে দেখেছি ৯টা ৩০ মিনিটে তিনি ডিনার শেষ করেই চলে গেছেন নিজের রুমে।
তিনি আরও লেখেন, একটা সময় মুশফিক হয়ে উঠলেন বাংলাদেশের ব্যাটিং স্তম্ভ। দেশের মানুষ ভালোবেসে নাম দেয় মি. ডিপেন্ডেবল। টেস্ট আর ওয়ানডে ক্রিকেটে তার ডেডিকেশন বাংলাদেশ ক্রিকেটকে অনেক দিয়েছে। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট আমার ভালোই লাগে না, উপভোগ করতে পারি না। মুশফিকের মতো গ্র্যামাটিক্যাল ক্রিকেটারের সঙ্গে এই বিনোদন আসলে যায় না। ভারতীয় লিজেন্ড ভিরাট কোহলি এক শ সেঞ্চুরির বিরল রেকর্ড করার সক্ষমতা রাখেন। টি-টোয়েন্টি বানিজ্যিক ক্রিকেটের কারণে তিনি আসলে রেস্টলেস। এই ফরম্যাটে তিনি যদি আর না খেলেন, নিশ্চয়ই ক্রিকেট বিশ্বের সুযোগ হবে নতুন ইতিহাস দেখার।
বিশ্ব ক্রিকেটে মুশফিকের অবদান নিয়ে আসিফে লেখেন, মুশফিক বিশ্ব ক্রিকেটে বাংলাদেশের মতো রাইজিং একটা দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। আমরা প্রতিদিনই তার কাছ থেকে সফলতা আশা করি, অথচ গৌরবময় অনিশ্চয়তার এই খেলায় মুশফিকের অবদান ভুলে যাই মুহূর্তেই। ব্যাপারটা এমন-দিতে পারলে ভালো, না দিতে পারলে দলের বোঝা। অথচ একবারও ভাবি না বাংলাদেশের ক্রিকেট মুশফিকের অনবদ্য অবদান নিয়ে। যাই হোক এটাই নিষ্ঠুর নিয়ম, বাঁচো মরো, ফর্মে থাকতেই হবে। মুশফিক টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট থেকে অবসর নেওয়ায় আমি ভীষণ খুশি। দলের এই সিনিয়র ক্রিকেটারের বাকি সময় টেস্ট এবং ওয়ানডে তে যথেষ্ট অবদান রাখার সুযোগ আছে।
এই ফাঁকে পাইপলাইনে থাকা ক্রিকেটারও দায়িত্ব নেওয়ার সুযোগ পাবেন। আমার কাছে মুশফিক ছোট ক্রিকেট প্লেয়িং দেশের বড় তারকা। একজন বাংলাদেশি ক্রিকেট ফ্যান হিসেবে আমি মুশফিকের কাছে কৃতজ্ঞ। দেশের ক্রিকেটকে তিনি অনেক দিয়েছেন। আমার বিশ্বাস আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে ভবিষ্যতে অবসর নিলেও দেশের জন্য তার অভিজ্ঞতা আমাদের খুব প্রয়োজন হবে। তিনি একজন অজেয় ফাইটার, মুশফিকুর রহিম তার জায়গায় ওয়ান অ্যান্ড অনলি। আপনার সুস্বাস্থ্য সফলতা আর দীর্ঘায়ু কামনা করি মি. ডিপেন্ডেবল। মানুষের আন্টিসান্টি কথায় কষ্ট নেবেন না, এগুলো একজন স্পোর্টসম্যানের কাছে শুধুই একটু মুচকি হাসির খোরাক মাত্র। ভালোবাসা অবিরাম।
এবি