আজ দেশের নন্দিত অভিনেত্রী ও সংসদ সদস্য সুবর্ণা মুস্তাফার জন্মদিন। জন্মদিনে কখনোই সুবর্ণা মুস্তাফার দিনটিকে ঘিরে তেমন বিশেষ কোনো আয়োজন থাকেনা। ঘরোয়া আবহেই দিনটি উদযাপিত হয়ে থাকে। একজন সুবর্ণা মুস্তাফা বাংলাদেশের নাট্যাঙ্গনের গর্ব। তাকে অনুপ্রেরণা হিসেবে নিয়ে এদেশের নাট্যাঙ্গনে অনেক অভিনয় শিল্পীও এসেছেন। আজ তার জন্মদিনে তাকে শুভেচ্ছা জানিয়ে কয়েকজন অভিনয় শিল্পী তাদের অভিব্যক্তি প্রকাশ করেছেন।
জীবন্ত কিংবদন্তী অভিনেতা মাসুদ আলী খান বলেন, ‘আমার খুউব ভালো বন্ধু গোলাম মুস্তাফার মেয়ে সুবর্ণা মুস্তাফা। তাকে জন্মদিনের অনেক অনেক শুভেচ্ছা। সুবর্ণা একজন সংসদ সদস্যও। তার কাছে আমাদদেও প্রত্যাশাও অনেক। সুবর্ণা বাংলাদেশের নাট্যাঙ্গনের একটি উজ্জ্বল নাম। আমি সবসময়ই তার সুস্বাস্থ্য ও মঙ্গল কামনা করি।’
বরেণ্য অভিনেতা, নির্মাতা আফজাল হোসেন বলেন, ‘একজন সুবর্ণা মুস্তাফা অভিনয়ে শুরু থেকেই পরিণত। সুবর্ণা মুস্তাফার মতো একজন শিল্পীর অভিনয়ে আনলিমিটেড ক্ষমতা থাকে। কিন্তু তা থাকলেও আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে শিল্পীদের অসহায়ত্বও থাকে। একটা সময় গেছে যখন সুবর্ণা’র অভিনয় দেখে দর্শক আনন্দিত হয়েছে। সুবর্ণাও কাজে নিয়মিত ছিলো। কিন্তু এখন সময়টা এমন হয়েগেছে যারা অভিনয়ে অভিজ্ঞ, আরো বেশি পরিপূর্ণ তাদেরকে নিযে দর্শকের মনে রাখার মতো কাজ হয়না। এটা যে কতো বড় দুঃখজনক এবং কতোটা হতামার তা আসলে বলে বুঝানোর মতো নয়। আমি চাই সুবর্ণা মুস্তাফাকে আরো ভালো ভালো কাজের মধ্যে দিয়ে তার অভিনয়কে দর্শক মনে আরো বাঁচিয়ে রাখার জন্য আরো ভালো ভালো কাজ হোক।’
নন্দিত অভিনেত্রী ডলি জহুর বলেন, ‘সুবর্ণার সঙ্গে আমার হূদ্যতা আন্তরিকতা সবসময়ই বেশ ভালো। এখন আসলে আগের মতো তার সঙ্গে দেখাও হয়না, যোগাযোগটাও কম। তবে তাকে আমি ভীষণ ভালোবাসি। বাবার কলম, অক্টোপাস থেকে শুরু করে শঙ্খনীল কারাগার-সিনেমা, একসঙ্গে আমরা অনেক কাজ করেছি। কতো কতো যে মধুর মধুর স্মৃতি আমাদের। সুবর্ণার মনটা অনেক বড়। তার জন্মদিনে অনেক অনেক শুভেচ্ছা, দোয়া।’