পেশায় আইনজীবী হলেও শখের বসে চলচ্চিত্রে দীর্ঘদিন আধিপত্য দেখিয়েছেন প্রযোজক মোঃ শামীম আলম। ঢাকার কোর্ট পাড়ায় প্রতিদিন এতো ব্যস্ততার মধ্যেও চলচ্চিত্রে নিয়মিত এই প্রযোজক।
পরিচালক সাইফ চন্দনের প্রথম চলচ্চিত্র ‘ছেলটি আবল তাবল, মেয়েটি পাগল পাগল’, পরিচালক রাশিদ পলাশের ‘পদ্মাপূরাণ’, পরিচালক আলম আশরাফের ‘কে’ নির্মাণাধীন চলচ্চিত্রসহ চুক্তিবদ্ধ সৈকত নাসিরের ‘ঢাকা এক্সপ্রেস’ এর প্রযোজক হিসেবে কাজ করেন নীল নক্ষত্র এন্টারটেইনমেন্টের সত্ত্বাধিকারী অ্যাডভোকেট মোঃ শামীম আলম। তিনি বর্তমানে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রযোজক পরিবেশক সমিতির একজন সদস্য।
আমার সংবাদের অনলাইনের সাথে কথা হয় এ প্রযোজকের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘শুরু থেকে একাধিক চলচ্চিত্রের মানুষের পাশে দাঁড়ালেও শেষ পর্যন্ত তার পাশে থাকেনি কেউ।’
এই প্রযোজকের ভাষ্য, ‘যখন একজন পরিচালক চলচ্চিত্র বানাতে এসে বিপাকে পড়ে তখন নানানভাবে ফুসলিয়ে কিন্তু আমাদেরকে চলচ্চিত্র লগ্নি করান। পরে তাদের প্রত্যাশা পূরণ হলে এই পরিচালকদেরকে আর খুঁজে পাওয়া যায় না।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি যাদের জন্য এতো পরিশ্রম করেছি। তারা আমাকে মনে রাখেনি। যখন চলচ্চিত্রের কাছের মানুষদের বিশেষদিন থাকে তখন তাদেরকে উইশ করেছি। কিন্তু তারাই আমার বিশেষদিনগুলো মনে রাখেনি। চলচ্চিত্র মূলত এখানেই পিছিয়ে রয়েছে। এখানে শেষে এসে কেউ কাউকে সহানুভূতিশীল চোখে দেখেন না। এটাই আমার সব থেকে বড় দুঃখ। ক’দিন আগেও এক পরিচালকের ইন্টারভিউতে আমার নাম শোনার অপেক্ষায় থেকেও শেষ পর্যন্ত তা শুনতে পারেনি।’
হুমায়ূন আহমেদের আদর্শ লালন করে চলেন এ পরিচালক। জীবনের সকল কর্ম তাকে উদ্দেশ্য করে এই প্রযোজক বলেন, তাকে অনুসরণ করেই মূলত মিডিয়ায় আসা।
চলচ্চিত্রের হুমায়ুন ফরিদি তার প্রিয় অভিনেতা। চলচ্চিত্র মালেক আফসারী পরিচালিত ‘এই ঘর, এই সংসার’ দেখেছেন প্রায় ৬০ বার। এতো কিছুর পরও চলচ্চিত্র ভালোবাসেন তিনি। জীবনের শেষ পর্যন্ত চলচ্চিত্রের হাল ছাড়তে চান না এই প্রযোজক।
অন্যদিকে নায়িকা আইরিনের অভিষেক, নায়ক কায়েস আরজুর সাথে প্রথম ছয় নায়িকার তকমা দেখান এই প্রযোজক। লাক্সের সাবিনা রিমা, অভিনেত্রী রিফাত জাহানসহ প্রথম শাহেদ শরীফের এন্ট্রি হিরো হিসেবে তকমাও দেখিয়েছেন তিনি।
উল্লেখ্য, উদিচী শিল্পীগোষ্টি ও ঢাকা থিয়েটারের নাট্য কর্মী ছিলেন তিনি। বেক্সিমকো টেক্সটাইলের ইয়োলো ফ্যাশন ডিজাইনার থেকে প্রায় ৫০টির বেশি নাটকের প্রযোজনার পাশাপশি চলচ্চিত্রের প্রযোজনা শুরু করেন তিনি। তার প্রযোজনায় ‘রচি মম ফাল্গুনী’ টেলিফিল্মটি বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করে।
কেএস