বর্তমান চলচ্চিত্রে খরা চলছে, টিকে আছে শুধু মামলা হামলা আর ঝামেলাতে। তার মধ্যে শাকিব-বুবলি-অপু ইস্যুতে তোলপাড় গোটা চলচ্চিত্র অঙ্গণ। দুই বিয়ে করে যেন বিপাকে আছেন দেশসেরা নায়ক শাকিব খান। সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার ধর্ষণের অভিযোগে নড়েচড়ে বসেছেন এই নায়ক।
এই নায়কের কাবিন ছাড়া নায়িকা অপু বিশ্বাস পাশে না থাকলেও কাবিন নিয়ে দ্বিতীয় স্ত্রী বুবলি ছিল বেশ সরব। প্রতিবাদ করতে দেখা যায় অস্ট্রেলিয়ার সেই ধর্ষণের বিরুদ্ধে।
এসবের মধ্যে মিলি সুলতানা নামে এক হাত দিয়েছেন অপু বিশ্বাসকে এবং নাম না বলা এক সাংবাদিকের সহধর্মিণী `ক` নামে কণ্ঠশিল্পীকে।ইঙ্গিতে দিয়েছেন এফডিসিতেসহ আমেরিকায় এই শিল্পীকে একাধিকবার ধর্ষণের।
মিলি সুলতানা নিজের ভেরিফাইড পেজে লিখেছেন, `সাধারণ মানুষের মনে বুবলির অবস্থান হল অনাকাঙ্ক্ষিত। অর্থ্যাৎ নায়কের জীবনে দ্বিতীয় নারীকে দর্শক সাদরে গ্রহণ করেনা। শাবানাকে দর্শক যতটা ভালোবাসে নূতনকে ততোটা ভালোবাসেনা। কারণ নূতন শাবানার স্বামী আলমগীরকে ছিনিয়ে নিয়েছেন।
সেটা অবশ্যই সিনেমার পর্দায়। ছবির শেষ দৃশ্যে নূতনের অবধারিত পরাজয়ে দর্শক করতালিতে মুখর থাকে। বাস্তব পটভূমিতে বুবলি হলেন দ্বিতীয় নারী। অপু বিশ্বাসের সিমপ্যাথাইজার যারা, তারা বুবলি বিদ্বেষী। বুবলি তার আচরণের মাধ্যমে হাজার হাজার হেইটার্স তৈরী করেছেন নিজের জন্য। অপু বিশ্বাস ভালো অভিনেত্রী -এমন ধারণা নিয়ে আমি তার কিছু অভিনয় দেখেছি। খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখেছি। কিন্তু ভয়ঙ্করভাবে হতাশ হয়েছি অপুর অভিনয় দেখে। মনে দাগ কাটার মত অভিনয়ের ধরাছোঁয়ার বাইরে অপু বিশ্বাস। অপুর অভিনয়কে ভালো গ্রেড দেয়া যায়না। তার অভিনয় অ্যাভারেজ।
তবে সেদিক থেকে বুবলি বেগমের অভিনয় ভালো। বুবলির অভিনয় মানসম্মত। যদি আমি আগে ভাবতাম অপুর অভিনয় মানসম্মত। অবশ্য অপু বিশ্বাস তার একনায়ক নির্ভর অভিনয় নিয়ে এগিয়েছেন মোটামুটি। তবে এককালে নিগৃহীত নারী হিসেবে অপুর অগণিত মানবিক ভক্ত আছেন। তারা অপুর ছেলে জয়ের কারণে অপুর পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। সেদিক থেকে বিচার করলে বুবলির পক্ষে মানবিক সমর্থন খুব অল্প।
বুবলি জানতেন তথাকথিত কিং খান একসঙ্গে তিন চার সিলেন্ডারের গাড়ি চালান। ঢাকার একটি নামকরা পত্রিকার জনৈক বিনোদন সাংবাদিক তার গায়িকা স্ত্রীকে ফেসবুকের যুধিষ্ঠিরের কাছে দফায় দফায় বর্গা দিয়েছেন।সেই গায়িকার নাম "ক" দিয়ে শুরু। ২০০৯ সালের চ্যানেল আই সেরা কণ্ঠে নির্বাচিত হন ওই গায়িকা। "ক" আদ্যাক্ষরের সেই গায়িকা নিজেকে রুনা লায়লার "মিলিনিয়াম ভার্সন" মনে করেন।
আপনাদেরকে একটা ঘটনা বলি, এফডিসির তিন নম্বর ফ্লোরে একটি ছবির শ্যুটিং চলছিল। নায়ক মেকআপ রুমে বিশ্রামে ছিলেন। শ্যুটিংয়ের জন্য নিজেকে তৈরি করার আগে তিনি শর্টকাট একটা ন্যাপ নেন। মহান নায়কের বডিগার্ড ছিল হারুন নামের একব্যক্তি। তো হল কি, বডিগার্ড হারুনকে দেখা গেলো মেকআপ রুমের সামনে দাঁড়িয়ে পাহারা দিচ্ছে। দরোজা বন্ধ করে নায়ক সেই গায়িকাকে নিয়ে বন্ধ কামরায় এক্কাদোক্কা খেলছিলেন। সেদিন নায়কের গভীর মাজরা বুঝতে কলাকুশলীদের খুব একটা সময় লাগেনি। গায়িকার স্বামী সাংবাদিক সাহেব নায়ককে বিস্তর স্পেস দিয়েছেন তার গায়িকা স্ত্রীর সাথে রোমান্স করার জন্য।
অর্থাৎ এই ভদ্রলোক জেনেশুনে তার স্ত্রীকে বন্ধক রেখেছেন ফেসবুকের যুধিষ্ঠিরের কাছে। বিনিময়ে গায়িকা স্ত্রী একের পর এক সিনেমায় প্লেব্যাক করার সুযোগ পাচ্ছেন। পরজীবী সাংবাদিক যুধিষ্ঠিরের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে একই পেয়ালায় স্যুপ চ্যাঙ ব্যাঙ চিকেন ফ্রাই পায়েস সেমাই জর্দা শেয়ার করেছেন। এমন বিরল প্রজাতির উদার স্বামী পেয়ে সুদর্শনা গায়িকা আনন্দে চাকভুম চাকভুম করছেন। স্বামীর আশীর্বাদ নিয়ে গায়িকা দুরন্ত গতিতে নিজেকে সমর্পণ করেছেন জাহিল নায়কের কাছে। চতুর গায়িকা তার সৌন্দর্য দিয়ে নায়ককে কাবু করে নায়কের সুপারিশে প্লেব্যাকের কাজ পাচ্ছেন।
করোনার সময় নিউইয়র্কে চ্যানেল আইয়ের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান এবং ঢালিউড অ্যাওয়ার্ডে অংশ নিতে আসেন তারা। একদিন তারা হোটেলের স্যুটে শীতল পাটি বিছিয়ে গল্পগুজব করছিলেন। আড্ডার এক পর্যায়ে হঠাৎ নায়কের বার্গার খেতে ইচ্ছে করলো। যেকোনো বার্গার হলে চলবেনা। নায়ক স্পেসিফিক যে বার্গার লাইক করেন, সেটাই আনতে হবে। সেই স্পেসিফিক বার্গার তার চাই-ই চাই। সাংবাদিক ভদ্রলোক বার্গার আনতে বেরিয়ে পড়লেন। হোটেল থেকে বার্গার কিনতে যাওয়ার দূরত্ব ৪০ মিনিটের মত। এই চল্লিশ মিনিটের মধ্যে একটি স্বল্পদৈর্ঘ্য রঙিন সিনেমা বানিয়ে ফেললেন নায়ক আর গায়িকা। জগতে এমন বিরল সাংবাদিকের দেখা কমই পাওয়া যায়।
মেরুদণ্ডহীন বিনোদন সাংবাদিক মিউচুয়াল আন্ডারস্ট্যান্ডিংয়ের মাধ্যমে নিজের স্ত্রীকে অন্যের জৈবিক ক্ষুধার উপকরণ বানিয়ে অন্যের বেডরুমে ঢুকিয়ে দিয়েছেন। বুবলি বেগমের কপালটাই মন্দ। এক সময়ের বেস্ট ফ্রেন্ড সে কিনা তারই পিঠে ছুরি চালিয়েছেন??বেস্ট ফ্রেন্ডের সাথে যুধিষ্ঠিরকে নাঙ্গা হাতে পাকড়াও করার জন্য নিউইয়র্কে উড়ে এসেছিলেন বুবলি। কিন্তু পারেননি পাকড়াও করতে।
উল্টো নিজেই বহিস্কৃত হয়েছেন যুধিষ্ঠিরের জীবন থেকে। একসময়ের প্রিয়বন্ধুর সাথে বেঈমানী করা ঘসেটি বেগম ওরফে গায়িকা কিন্তু বুবলির ভাগের সব দধি ছানা মালাই একাই গপাগপ খেয়ে ফেলেছেন। তাই একগাদা স্মৃতি রোমন্থন করা ছাড়া বুবলির আর কোনো উপায় নাই। বেস্ট ফ্রেন্ড গায়িকা কৌশলে বুবলির চোখে মলম লাগিয়ে তার কোলবালিশ ছিনতাই করেছেন। বুবলি প্রায়শই রেগে অগ্নিশর্মা হয়ে দাঁতে দাঁত চেপে বিড়বিড় করেন, "শয়তান ডাইনী এই ছিল তোর মনে........"??`
তবে শাকিব খান নিজেকে বার বার নির্দোষ প্রমাণ করলেও ইন্ডাস্ট্রিজের অনেক লোক তার সম্পের্ক খারাপ ধারণা তুলেছেন। এমনকি এই নায়কের জন্য চলচ্চিত্র আজ ধ্বংসের কথা জানিয়েছেন অনেকে। এমনকি নায়ক শাকিব খানের বিরুদ্ধে একাধিক নারী কেলেঙ্কারির কথাও বলেছেন একাধিক বিশস্ত সূত্র। তবে এ বিষয়ে কোন কথা বলতে রাজি হননি দেশের একমাত্র সুপারস্টার নায়ক শাকিব খান।