বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন নিয়ে চিত্রনায়ক জায়েদ খান ও চিত্রনায়িকা নিপুণ আক্তারের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। বিষয়টি পরবর্তী সময়ে উচ্চ আদালত পর্যন্ত গড়ায়।
জায়েদ ও নিপুণের মধ্যকার এই দ্বন্দ্ব নিরসনের সম্ভাবনা খুবই কম। বরং সুযোগ পেলে একজন আরেকজনের সমালোচনায় মেতে ওঠেন।
গত সোমবার রাজধানীর ফিল্ম আর্কাইভের এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে নিপুণ বলেন, ‘জায়েদকে ফ্রান্সের ভিসা দেয় নাই, এটা প্রশ্ন করেন না কেন? এটাও প্রশ্ন করেন আমি উত্তর দেব।
এর পর এই অভিনেত্রী বলেন, ও (জায়েদ খান) যে বাংলাদেশকে ডুবিয়েছে। কান চলচ্চিত্র উৎসব, এত বড় আয়োজন, জিও থাকা এবং প্রধানমন্ত্রীর সাইন থাকার পরেও শুধু জায়েদ থাকার ফলে আমাদের এমডি ভিসা পায়নি। সেই অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের সাথে অশলীন ভাষা ব্যবহার করে সমালোচনার মুখেও পরেন এই নায়িকা।
নিপুণের অভিযোগের বিষয়ে এবার মুখ খুলেছেন জায়েদ খান। তিনি বলেন, ‘আমি কীভাবে বাংলাদেশ ডোবালাম? কান উৎসবে আমার নেগেটিভ কিছু থাকলে সরকার আমাকে জিও করে দিত না। আমার কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর সিগনেচার হয়েছে।
আমরা দুদিন বাকি থাকতে পেপারস জমা দিয়েছিলাম। তখন বলা হয়েছিল শর্ট টাইম। নিপুণ শুধু আমাকে নয়, ফ্রান্স এম্বাসিকেও ছোট করেছে। পেপারস জমা দিলাম পাঁচজন। তাদের মধ্যে এফডিসির এমডি আছেন, আরও দুজন ডিরেক্টর। তাদের হচ্ছে ডিপ্লোম্যাট পাসপোর্ট। তাদের দিত, আমাকে বাদ দিয়ে দিলেই তো হতো। এটা তো ইন্ডিভিজ্যুয়াল ভিসা। তা হলে অন্যদের ভিসা দিল না কেন?
নিপুণকে উদ্দেশ্য করে জায়েদ খান বলেন, ‘নিপুণের কথা হলো— পাগলের প্রলাপ। কেউ ভোট ছাড়া নির্বাচিত হলে যা খুশি বলতে পারে। একটা মানুষ ভোটে না জিতে অন্যায়ভাবে বসলে যা হয় আরকি। এরা পাগলের প্রলাপ বকবে। এরা মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছে অনেকটা। তার মুখ থেকে তো অবৈধ জিনিসই বেরোবে। এটিই তো নিয়ম।
সোহাগ/আরএস