বাংলাদেশি সিনেমা ‘প্রিয়তমা’ মালয়েশিয়ায় নতুন রেকর্ড গড়েছে। মালয়েশিয়ার স্বাধীনতা দিবসে মুক্তির প্রথম দিনে সিনেমাটি দেখতে দর্শকের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।
মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি সিনেমা মুক্তির নজির খুবই কম। তবে এবারই প্রথম বাংলাদেশি সিনেমা ‘প্রিয়তমা’ দেখতে রেকর্ড সংখ্যক দর্শক হলে ভিড় জমায়। সাব টাইটেল থাকায় ভিন্ন ভাষার দর্শকরাও ছবিটি উপভোগ করেছেন। অনেকেই পরিবারের সদস্যদের নিয়ে একসঙ্গে ছবিটি উপভোগ করেছেন।
তবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রিয়তমার মত ফ্রেশ গল্পের অশ্লীলতা মুক্ত সামাজিক ছবি মালয়েশিয়া মুক্তি দিলে প্রবাসীরা হলমুখী হবে। বাংলাদেশের ছাড়াও আমেরিকা, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড, আয়ারল্যান্ডে মুক্তির পর দর্শক টেনেছে শাকিব খানের ছবি ‘প্রিয়তমা’।
জানা যায়, সাফল্যের ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) মালয়েশিয়াতে মুক্তি পেল হিমেল আশরাফ পরিচালিত এ ছবিটি। দেশটির ১০টি শহরের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির প্রথমদিনেই হুমড়ি খেয়ে প্রবাসী বাঙালিরা ‘প্রিয়তমা’ দেখছেন। মালয়েশিয়ায় এক মিলিয়নের বেশি বাংলাদেশী প্রবাসী রয়েছেন। দর্শকের চাপ সামাল দিতে পহেলা সেপ্টেম্বর থেকে মালয়েশিয়াতে প্রিয়তমার ছবির শো সিডিউল বাড়ানো হয়েছে।
দেশটির কুয়ালালামপুরের টিজিভি কেএলসিসি, টিজিভি চেরাস সেন্ট্রাল, পেনাঙের এমএমসি প্রাঙ্গিন মল, জোহরের এমএমসি সিটি স্কয়ার, শাহ আলমের টিএসআর সিনেমেক্স, সেরেম্বানের এই সিনেমাসে ‘প্রিয়তমা’ চলছে। প্রথমদিনে সবখানেই দর্শকদের উপস্থিতি রয়েছে চোখে পড়ার মতো।
মালয়েশিয়াতে প্রিয়তমা চলচ্চিত্র প্রদর্শনী এজেন্সি ‘হ্যাপি ট্রিপ এন্ড ট্রাভেলস’ থেকে ‘প্রিয়তমা’র টিকেট কেনেন তাহলে একটি টি-শার্ট উপহার দেয়া হচ্ছে! অনলাইনে সেখানকার প্রদর্শনের বিভিন্ন ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে, প্রিয়তমা দেখতে দর্শকদের বেশ চাপ আছে, প্রিয়তমা দেখে হল থেকে বের হয়ে ফেইসবুকে পোস্ট দিয়ে প্রসংশা করছে।
সিনেমা দেখতে গিয়ে অনেকেই ফেসবুক লাইভ করছেন। সেখানে তারা জানাচ্ছেন, অনেকে দূর দূরান্ত থেকে প্রিয়তমা দেখতে এসেও টিকেট পাচ্ছেন না। তাই তারা মালয়েশিয়াতে আরও বেশি থিয়েটারে প্রিয়তমা চালানোর দাবি জানান।
প্রথম দিনে মালয়েশিয়াস্থ বাংলাদেশ কমিউনিটি সহ দূতাবাসের কর্মকর্তা, কর্মচারী ছবিটি দেখে সিনেমা হল থেকে বেরিয়ে প্রিয়তমার ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। প্রিয়তমার মত মানসম্মত সিনেমা বাংলাদেশে নিয়মিত তৈরী হলে ঝিমিয়ে পড়া দেশীয় ফিল্ম ইণ্ডাষ্ট্রির দেশ-বিদেশে বাংলা সংস্কৃতির দ্রুত বিকাশ ঘটবে।
এআরএস