রাজধানীর রমনা বটমূলে বাংলা নববর্ষ বরণের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। সেখানে প্রায় দেড় শ কণ্ঠ ও যন্ত্রশিল্পী উপবেশন করে সুরবাণীতে নতুন বছরকে আবাহন জানাবেন সোমবার (১৪ এপ্রিল) পয়লা বৈশাখ প্রভাতে।
রোববার বিকেল সাড়ে ৩টায় চূড়ান্ত মঞ্চে চূড়ান্ত মহড়া শুরু হয়। মোট পাঁচটি ধাপ রয়েছে মঞ্চে।
আয়োজকেরা জানান, এবার তাদের অনুষ্ঠানের মূল বার্তা হবে ‘আমার মুক্তি আলোয় আলোয়’। আলো, প্রকৃতি, মানুষ ও দেশপ্রেমের গান দিয়ে সাজানো হয়েছে অনুষ্ঠান।
সোমবার (১৪ এপ্রিল) সকাল সোয়া ৬টা থেকে শুরু হবে মূল পরিবেশনা। এতে অংশগ্রহণ করবেন নারী-পুরুষের সম্মিলিত প্রায় দেড়শত শিল্পী। থাকবে বৈশাখী গান ও কবিতা। মোট ২৪টি পরিবেশনার মধ্যে ৯টি সম্মিলিত গান, ১২টি একক গান ও কবিতা থাকবে তিনটি। এবারের নববর্ষের মূল কথন পাঠ করবেন ছায়ানটের নির্বাহী সভাপতি সারওয়ার আলী।
ছায়ানটের বর্ষবরণ প্রস্ততি কমিটির সদস্য আমিনুল কায়সার দীপু জানান, বাংলা ১৪৩২ বরণ অনুষ্ঠান উদযাপনে এবারের মঞ্চের আকার অর্ধবৃত্তাকারে ৭২ ফুট লম্বা ও ৩০ ফুট প্রস্থ। গত তিন মাস ধরেই ধানমন্ডির ছায়ানট ভবনে মহড়া চলছিলো।
কর্তৃপক্ষ জানায়, মূল পরিবেশনায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে পুরুষরা পরবেন মেরুন রঙের পাঞ্জাবি ও সাদা পায়জামা। আর নারীরা পরবেন মেরুন পাড়ের অফ হোয়াইট শাড়ি। শাড়ির কপাটের সঙ্গে মিল রেখে ইতোমধ্যে মঞ্চের ডিজাইনেও স্থান পেয়েছে মেরুন রঙ। যদিও গত বছর এর রং ছিল সবুজ।
সকাল ৬টা ১৫ মিনিটে আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গে ভৈরবীতে রাগালাপ দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা হবে। এবার মোট ২৪টি পরিবেশনা হবে। এর মধ্যে ৯টি সম্মেলক গান, ১২টি একক কণ্ঠের গান ও ৩টি পাঠ থাকবে। শেষ হবে জাতীয় সংগীত দিয়ে।
ইএইচ