অ্যানিমিয়া বলা হয় যখন কারো শরীরে রক্তের হিমোগ্লোবিনের অভাব দেখা দেয়।হিমোগ্লোবিন হলো লোহিত রক্তকনিকায় অবস্থিত এক প্রকার প্রোটিন, যার মধ্যে আয়রন এবং ট্রান্সপোর্টস অক্সিজেন থাকে। এ রোগের প্রকোপ বর্তমানে উন্নয়নশীল দেশে অনেক বেশি।আমাদের দেশে বেশিরভাগ প্রত্যন্ত অঞ্চলে পুষ্টিহীনতার কারণে নারীরা রোগে ভোগে।
চেহারা ফ্যাকাশে হওয়া । খাবারে রুচিহীনতা । কাজে যাওয়ার মানসিকতা বিষাক্ত । গরমের মৌসুমে এগুলোকে শুধুই ক্লান্তি বলে অবহেলা করলে আপনি কিন্তু মস্ত ভুল করবেন। এগুলো কিন্তু হতে পারে অ্যানিমিয়ার লক্ষণ। শরীরে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কমে গেলে এই উপসর্গগুলো দেখা যায়।
রক্ত স্বল্পতায় আক্রান্ত ব্যক্তির অনেক সময় চুল ঝরতে পারে। রক্ত স্বল্পতার ফলে রোগী মানসিক অবসাদে ভোগেন। অনেকের হৃদ্স্পন্দনের গতি বেড়ে যায়। অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় অনেক নারী রক্ত স্বল্পতার সমস্যায় ভোগেন, যা শিশুর স্বাস্থ্যের পক্ষে মোটেই ভালো নয়। পুষ্টিবিদদের মতে, খাদ্যাভ্যাসে সামান্য বদল আনলেই এই রোগের ঝুঁকি এড়ানো সম্ভব।
আসুন জেনে নিই, খাদ্যতালিকায় কী রাখলে শরীরে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়বে।
ভিটামিন সি যুক্ত ফল
শরীরে পর্যাপ্ত মাত্রায় ভিটামিন ‘সি’ না থাকলে আয়রন শরীর ঠিক করে গ্রহণ করতে পারে না। ফলে এমন ফল নিয়মিত খাওয়া উচিত, যাতে প্রচুর ভিটামিন ‘সি’ রয়েছে। আম, লেবু, আপেল, পেয়ারার মতো ফলে প্রচুর ভিটামিন ‘সি’ রয়েছে। ভিটামিন ‘সি’ অন্য খাবার থেকে আয়রন পেতে শরীরকে সাহায্য করে।
সবজি
শাকসবজি খেলে আয়রনের ঘাটতি অনেক কমে। বিটের মতো আনাজ হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ বাড়াতে সাহায্য করে। টমেটো, কুমড়ো, ব্রকলি বা পালংশাকে প্রচুর আয়রন থেকে। এগুলো খেলেও রক্ত স্বল্পতার সমস্যা কমতে পারে।
সামুদ্রিক মাছ
এ-জাতীয় মাছে প্রচুর আয়রন থাকে। যারা রক্ত স্বল্পতায় ভুগছেন, তারা এই মাছ খেতে পারেন। টুনা, ম্যাকারেল ইত্যাদি মাছ খাওয়া যেতেই পারে।
শুকনো ফল
হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ কমে গেলে শুকনো ফল খেতে পারেন। কিশমিশ, কাজু, খেজুরে প্রচুর আয়রন রয়েছে। অ্যাপ্রিকটেও প্রচুর পরিমাণে আয়রন আছে। খেজুর শরীরে হিমোগ্লোবিনের ঘাটতি কমাতে সাহায্য করে।