করোনা থেকে সুরক্ষায় প্রাপ্তবয়স্ক ও মাধ্যমিকের শিশুদের টিকাদানের পাশাপাশি এবার প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের তথা ৫ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুদের টিকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
রোববার (০৭ আগস্ট) বেসরকারি একটি টেলিভিশনকে এ তথ্য জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, ১১ আগস্ট পরীক্ষামূলক প্রয়োগের কিছুদিন পর আগামী ২৬ আগস্ট পুরোদমে এসব শিশুদের টিকা কার্যক্রম শুরু হবে।
এর আগে গত ১ আগস্ট স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার খুরশীদ আলম জানান, করোনাভাইরাস প্রতিরোধে পাঁচ থেকে ১২ বছরের শিশুদের টিকাদান কার্যক্রম প্রাথমিকভাবে ঢাকা থেকে শুরু হবে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, প্রাথমিকের শিক্ষার্থী ছাড়াও সারা দেশে ৫ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুর সংখ্যা ২ কোটি ২০ লাখের মতো। সেই অনুযায়ী চলতি বছরের শুরুর দিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) কাছে ৪ কোটি ৪০ লাখ টিকার চাহিদা পাঠায় সরকার। সে অনুযায়ী গত ৩০ জুলাই ১৫ লাখ ২ হাজার ৪০০ ডোজ টিকা পাঠায় ডব্লিউএইচও।
এই মুহূর্তে যে পরিমাণ টিকা আছে, তাতে দেশের সব শিশুকে টিকা দেওয়া সম্ভব নয়। কাজেই আমরা ঢাকা শহরের একটি কেন্দ্রে প্রাথমিকভাবে টিকা দেওয়া শুরু করব। কিছুদিন পর্যবেক্ষণ করব। তারপর আবার টিকা এলে শিশুদের টিকা কার্যক্রম এগিয়ে নিয়ে যাব। ’
আমারসংবাদ/টিএইচ