বিএসএমএমইউ উপাচার্য

গবেষণালব্ধ জ্ঞানে চিকিৎসা দিলে রোগীদের বিদেশ যাওয়া কমানো যাবে

নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৮, ২০২৪, ০৩:৪২ পিএম
গবেষণালব্ধ জ্ঞানে চিকিৎসা দিলে রোগীদের বিদেশ যাওয়া কমানো যাবে

গবেষণালব্ধ জ্ঞানের মাধ্যমে চিকিৎসাসেবা প্রদান করলে রোগীদের বিদেশ যাওয়া কমানো যাবে বলে মন্তব্য করেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ।

রবিবার (২৮ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের শিশু সার্জারি বিভাগে প্রথমবারের মত বিভাগ ভিত্তিক গবেষণা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

উপাচার্য বলেন,  যেকোন ভাল কাজের উদ্যোগ নিলেই সেটি করা সম্ভব হয়। এর প্রমাণ এই শিশু বিভাগে প্রথমবারের মত বিভাগ ভিত্তিক গবেষণা  দিবস উদযাপন। আমি উদ্যোগ নিয়েছিলাম বলেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথমবারের মত লিভার ট্রান্সপ্লান্ট, পর পর দুটি ক্যাডাভেরিক ট্রান্সপ্লান্টের মত জটিল অপারেশন, টেস্ট টিউব বেবির জন্ম দেয়া, জোড়া শিশুর সফলতাভাবে আলাদা করা হয়েছে। যেসব আগে কারো কল্পনায়ও ছিল না। উদ্যোগ নেবার ফলে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিষ্ঠার দুই যুগ পর সাধারণ জরুরি বিভাগ চালু করা হয়েছে। জার্নালও ইনডেক্স করার প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে।

তিনি বলেন, আমরা কখনো ভাবিনি গ্লেুাকোমা স্ক্রিনিংয়ের একটি ডোনো মিটার কেনার ফলে ব্রিটিশ জার্নালে আমাদের নাম চলে আসবে। একটি উদ্যোগের মাধ্যমে এ মেশিন কেনা হয়েছে।  এই মেশিন দিয়ে সিরাজগঞ্জে একসঙ্গে সাড়ে তিন হাজার মানুষের গ্লেুাকোমা পরীক্ষা করা হয়েছে । পৃথিবীর ইতিহাসে একসঙ্গে এত লোকের গ্লেুাকোমা করা হয় নি। আমরাই করেছি প্রথম।

উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ  আরো বলেন, আমরা  কৃষিখাতের মত গবেষণা করতে চাই । আমরা চিকিৎসকরা গবেষণা ফলে কৃষির মত প্রচুর অর্থ সাশ্রয় করতে পারব।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন শিশু অনুষদের ডিন শিশু বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মানিক কুমার তালুকদার। শিশু বিভাগেরর ইয়ারবুক-২০২৩ ও শিশু বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মানিক কুমার তালুকদার ও অধ্যাপক ডা. ইমরুল ইসলাম একটি করে মোট দুটি মৌলিক গবেষণার প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।

আরএস