স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, ‘গাজীপুরে সিলিন্ডার বিস্ফোরণে ভয়াবহ আগুনে পুড়ে যাওয়া দগ্ধ রোগীদের খোঁজখবর নিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি এই চিকিৎসার যাবতীয় ব্যয় ভার নিজেই বহন করবেন।’ বিস্ফোরণের ঘটনায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে মোট ৩২ জন বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি আছে।
বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ ) সকাল ৮টায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের চিকিৎসকদের সঙ্গে একটি বোর্ডসভায় এ কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
গাজীপুরে সিলিন্ডার বিস্ফোরণে আহত রোগীদের উন্নত চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে এ বোর্ডসভা করেন মন্ত্রী।
সভায় ভর্তিকৃত রোগীদের শারীরিক অবস্থার বিস্তারিত তথ্য অবহিত হন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। ভর্তিকৃতদের মধ্যে কতজন শিশু, কতজনের অবস্থা বেশি গুরুতর, কতজন আইসিইউ, এইসডিওতে ভর্তি আছেন তার খোঁজ নেন মন্ত্রী।
সভায় অংশ নেওয়া চিকিৎসকদের উদ্দেশে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, “সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ রোগীদের শারীরিক কষ্ট অনেক। প্রতিটি রোগীকে নিজের পরিবারের সদস্যদের মতো মনে করতে হবে। দগ্ধ রোগীদের অনেকেরই অবস্থা অত্যন্ত আশংকাজনক। আমরা কিছু রোগীকে হয়ত বাঁচাতে পারব না। কিন্তু কোনো রোগীর প্রতি শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত আমাদের চেষ্টার যেন কোনোরকম অবহেলা না থাকে এটি আমাদেরকে নিশ্চিত করতে হবে।”
সভায় সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনায় মোট ৩২ জন বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি আছে বলে স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে জানানো হয়। এই ৩২ জনের মধ্যে ৫ জন রোগী আইসিইউ এবং ২ জন এইচডিইউতে ভর্তি রয়েছে। রোগীদের মধ্যে ১০০ ভাগ দগ্ধ রোগী আছেন একজন, ৯৫ ভাগ দগ্ধ রোগী আছে ৩ জন এবং ৫০-১০০ ভাগ দগ্ধ ১৬ জন বলে জানানো হয়।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেনের সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিউটের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক অধ্যাপক ডা. মুহাম্মদ নওয়াজেস খান, অধ্যাপক (রেডিওলজি) ডা. খলিলুর রহমান, অধ্যাপক (এনেস্থেসিওলজি) ডা. আতিকুল ইসলাম, সহযোগী অধ্যাপক (বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি) ডা. হাসিব রহমান, সহযোগী অধ্যাপক (বার্ন এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি) ডা. হোসাইন ইমাম (ইমু) প্রমুখ।
বিআরইউ