পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হওয়ার মধ্যেই সারাবিশ্ব থেকে করোনার ভ্যাকসিন সরিয়ে নিতে শুরু করেছে ব্রিটিশ-সুইডিশভিত্তিক বহুজাতিক কোম্পানি অ্যাস্ট্রাজেনেকা। তবে উদ্বেগ থেকে গেছে দেশের মানুষকে দেওয়া সাড়ে ৫ কোটি ডোজ নিয়ে।
অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা ‘কোভিশিল্ড’ নেওয়ার পর দেশেও দেখা দিয়েছে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া। তবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, এই টিকা গ্রহণের পর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার হার অতি নগণ্য।
প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, টিকা গ্রহণকারীদের শরীরে দীর্ঘমেয়াদি কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ বিষয়ে মাঠ পর্যায়ে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ চলমান। এসব তথ্য-উপাত্ত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) কাছে দেওয়া হবে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক ডা. আহমেদুল কবীর বলেন, ‘আমি যতটুকু জানি, বাংলাদেশে অ্যাস্ট্রাজেনেকা থেকে গুরুত্বপূর্ণ কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয়নি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সহায়তায় ভ্যাকসিনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলো দেখা হচ্ছে। আমরা তাদের সাথে এ নিয়ে আলোচনার চেষ্টা করছি।’
টিকা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা গ্রহণে প্রতি ৫০ হাজারে এক জনের এমন উপসর্গ দেখা দিতে পারে। তবে তথ্য-উপাত্তের ঘাটতিতে সঠিক পরিসংখ্যান আসবে না। পরিসংখ্যান খুঁজতে মাঠ পর্যায়ে আরও মনোযোগী হতে হবে বলছেন তারা।
আরএস