গবেষণা

চিকিৎসা ব্যয় মেটাতে বছরে ৬১ লাখ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে

স্বাস্থ্যডেস্ক প্রকাশিত: জুলাই ১৬, ২০২৪, ১১:১১ এএম
চিকিৎসা ব্যয় মেটাতে  বছরে ৬১ লাখ মানুষ  দারিদ্র্যসীমার নিচে

চিকিৎসা ব্যয় মেটাতে গিয়ে প্রতি বছর দারিদ্র্যসীমার নিচে নামে প্রায় ৬১ লাখ মানুষ। সবচেয়ে বেশি খরচ হয় ওষুধের পেছনে। বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে। দেখা গেছে, ক্যানসার, হৃদরোগ, লিভার ও কিডনির চিকিৎসায় সর্বস্বান্ত হচ্ছেন রোগী। গবেষকেরা বলছেন, স্বাস্থ্যবিমা ছাড়া ব্যয় কমানো অসম্ভব।

যত দিন যাচ্ছে, ততই বাড়ছে রোগের প্রকোপ, বাড়ছে চিকিৎসা ব্যয়ও। চিকিৎসা ব্যয় বিষয়ে সবশেষ পরিস্থিতি জানতে ১৪ হাজারের বেশি রোগী ও পরিবারের তথ্য বিশ্লেষণ করেছে সরকারের উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান (বিআইডিএস)।

বিআইডিএস স্বাস্থ্য অর্থনীতি গবেষক ড. আব্দুর রাজ্জাক সরকার বলেন, নিয়মিত স্বাস্থ্য সেবা নেওয়া রোগীদের মাসিক ব্যয় প্রায় সাড়ে ৩ হাজার টাকা। সবচেয়ে বেশি মাসে গড়ে ১৯ হাজার টাকা ব্যয় হয় ক্যানসার রোগীর। আর হৃদরোগের পেছনে ব্যয় হয় আট হাজারের বেশি। মূলত ওষুধ কিনতেই পকেট খালি হয় রোগীর। মোট চিকিৎসা ব্যয়ের অর্ধেকের বেশিই যায় ওষুধের পেছনে। এর পরই রয়েছে রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসকের ফি।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, ‘চিকিৎসা ব্যয় মেটাতে গিয়ে প্রতি বছর অতিদরিদ্র হয় ৬১ লাখ মানুষ। ঋণ করতে হয় ২৭ ভাগ মানুষকে। সম্পত্তি বিক্রি করতে বাধ্য হয় ১৫ শতাংশ রোগীর পরিবার।’

দক্ষিণ এশিয়ায় ব্যক্তিগত চিকিৎসা ব্যয় সবচেয়ে বেশি আফগানিস্তানে। এরপরেই বাংলাদেশের অবস্থান।

আরএস