এইচএমপিভি ভাইরাস

দেশের সব বিমানবন্দরে সতর্কতা জারি

নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৩, ২০২৫, ১১:১৮ পিএম
দেশের সব বিমানবন্দরে সতর্কতা জারি

চীনে ছড়িয়ে পড়া হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস বা এইচএমপিভি বাংলাদেশেও হানা দিয়েছে। এ অবস্থায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সব স্টেকহোল্ডারকে নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)।

সোমবার এক লিখিত চিঠিতে এ তথ্য জানান শাহজালাল বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক কামরুল ইসলাম।

চিঠিতে তিনি লেখেন, এইচএমপি ভাইরাস নিয়ে আতঙ্ক বা উদ্বেগের কোনো তাৎক্ষণিক কারণ নেই। সচেতনতা বজায় রাখা এবং প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা অনুসরণ করলে এর বিস্তার নিয়ন্ত্রণে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আনতে পারে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জারি করা নির্দেশনা অনুযায়ী, শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সব স্টেকহোল্ডারকে এইচএমপি ভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে।

স্টেকহোল্ডারদের জন্য নির্দেশনা

প্রয়োজনে বিমানবন্দর প্রাঙ্গণে সমস্ত যাত্রী, কর্মী ও দর্শনার্থীদের ফেস মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহারে উৎসাহিত করা। জ্বর, কাশি বা শ্বাসকষ্টের মতো এইচএমপিভির যেকোনো লক্ষণ পাওয়া গেলে তাৎক্ষণিকভাবে শাহজালালের স্বাস্থ্য বিভাগে রিপোর্ট করা।

বিমান সংস্থাগুলোর জন্য নির্দেশনা

ভ্রমণের উৎসস্থলে, বিশেষ করে সন্দেহভাজন দেশগুলো থেকে আগত ফ্লাইটগুলোর জন্য সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা। যদি কোনো যাত্রীর মধ্যে লক্ষণ দেখা দেয় অথবা ফ্লাইটে কোনো সন্দেহজনক রোগী থাকে, তাহলে তাৎক্ষণিকভাবে শাহজালালের স্বাস্থ্য ইউনিটকে অবহিত করা। কেবিন ক্রু ও যাত্রীরা নির্দেশিকা সম্পর্কে অবগত আছেন কিনা, তা নিশ্চিত করা।

স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীদের জন্য নির্দেশনা

সন্দেহজনক লক্ষণযুক্ত যাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা। এসব বিষয় নিশ্চিত করার জন্য স্টেকহোল্ডারদের সহায়তা ও তথ্য প্রদান করা।

চিঠিতে আরও লেখা হয়, রোগ নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র (সিডিসি) পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। এই ভাইরাস ফ্লুর মতো অন্যান্য শ্বাসযন্ত্রের অসুস্থতার মতো লক্ষণ সৃষ্টি করে, যা সাধারণত ২-৫ দিনের মধ্যে সেরে যায়। অতএব, আসুন আমরা আতঙ্কিত না হয়ে সতর্ক থাকি। সবাইকে স্বাস্থ্য নির্দেশিকা অনুসরণ করার এবং নিরাপদ থাকার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে।

ইএইচ