এবার সেই চিকিৎসক গুরুদাস মন্ডলের বদলিও বাতিল করলো স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়

আমার সংবাদ ডেস্ক প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২৫, ১২:৫০ পিএম
এবার সেই চিকিৎসক গুরুদাস মন্ডলের বদলিও বাতিল করলো স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়

স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) নেতা অধ্যাপক ডা. গুরুদাস মন্ডলকে পাবনা থেকে বদলি করে আবারও রাজধানীর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস ও হাসপাতালে নিয়ে আসার প্রতিবাদে চিকিৎসকদের আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন হাসপাতাল পরিচালক অধ্যাপক ডা. কাজী দীন মোহাম্মদ। তবে যাকে ঘিরে এই আন্দোলন এবং পরিচালকের পদত্যাগ- এবার সেই ডা. গুরুদাস মন্ডলের বদলিও বাতিল করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের (পার-১) উপসচিব মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এই তথ্য জানানো হয়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ‘পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়াধীন স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের পার-১ শাখার গত ১১ ফেব্রুয়ারির ৪৫.০০.০০০০.১৪৭.১৯.০০২.২৪.১৫৬ নং স্মারকে ডা. গুরুদাস মন্ডল (৪৩৬৬৬), সহযোগী অধ্যাপক, নিউরোলজি, মেডিকেল কলেজ, পাবনা-কে সহযোগী অধ্যাপক, নিউরোলজি, ওএসডি, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, মহাখালী, ঢাকা সংযুক্ত হিসেবে নাল ইনস্টিটিউট অব নিউরো সায়েন্সেস হাসপাতাল, ঢাকায় বদলি/পদায়ন আদেশে তার সংশ্লিষ্ট অংশটুকু এতদ্দ্বারা বাতিল হলো।’

রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে জনস্বার্থে এ আদেশ জারি করা হলো বলেও প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।

চিকিৎসকদের একাধিক সূত্রে জানা গেছে, চার মাসে আগে নিউরোসায়েন্সেস হাসপাতাল থেকে স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) নেতা অধ্যাপক ডা. গুরুদাস মন্ডলকে পাবনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বদলি করা হয়। তবে সম্প্রতি তাকে আবারও নিউরোসায়েন্সেস ও হাসপাতালে ফিরিয়ে আনা হলে এ নিয়ে চিকিৎসকদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দেয়।

এর প্রেক্ষিতে গত বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সকালে হাসপাতালের ৪০২ নম্বর রুমে জরুরি বৈঠকে বসেন বিএনপি ও জামায়াতপন্থী চিকিৎসকরা। এসময় হাসপাতালে চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী ও আউটসোর্সিং কর্মীরা চিকিৎসকদের ওপর হামলা চালায়। অভিযোগ উঠে হামলাকারীরা নিউরোসায়েন্সেস হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. কাজী দীন মোহাম্মদের অনুগত। এরপর কর্মবিরতি দিয়ে আন্দোলন শুরু করেন চিকিৎসকরা।

এমনকি চিকিৎসকদের আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন অধ্যাপক কাজী দ্বীন মোহাম্মদ।

আরএস