রুশ বাহিনী টানা সাড়ে তিন মাসেরও বেশি সময় ধরে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান চালাচ্ছে। চলমান যুদ্ধে প্রাণ হারানো রুশদের সংখ্যা নিয়ে মন্তব্য করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
তিনি বলেন, যুদ্ধ শুরুর পর থেকে চলতি জুন মাসে রাশিয়ান প্রাণহানির সংখ্যা ৪০ হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে।
রোববার (১২ জুন) রাতের নিয়মিত বিবৃতিতে যুদ্ধের ১০৯ দিনে তিনি এ কথা জানান। সোমবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর আক্রমণ শুরু হয়। সেখানে তিনি পশ্চিমা দেশগুলোর কাছ থেকে উন্নত বিমান প্রতিরক্ষাব্যবস্থা দেওয়ার জন্য আবার আহ্বান জানান।
ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্টের দাবি, পশ্চিমা দেশগুলোর কাছ থেকে এই জাতীয় প্রতিরক্ষা হাতে পাওয়া গেলে ইউক্রেন অনেক ট্র্যাজেডি এড়াতে পারত। যার মধ্যে রোববার টারনোপিলে একটি বিমান হামলাও রয়েছে। এই হামলায় আহত ১২ বছর বয়সি একটি মেয়েশিশুসহ ১০ জন হাসপাতালে রয়েছেন।
জেলেনস্কি বলেন, এ ধরনের ঘটনাগুলো পিটার দ্য গ্রেট এবং ঔপন্যাসিক লিও টলস্টয়কে প্রতিস্থাপন করছে যে বিশ্ব এখন কীভাবে রাশিয়াকে নিয়ে ভাবছে। এ ছাড়া রাশিয়ান জেনারেলদের বিরুদ্ধে সেনাদের ‘কামানের খাদ্য’ হিসাবে ব্যবহার করার অভিযোগ করেছেন জেলেনস্কি।
তার দাবি, যুদ্ধে মস্কোর কৌশল পরিবর্তন হয়নি এবং দুর্বল-প্রশিক্ষিত রুশ রিজার্ভ সেনাদের এখন দোনবাসের যুদ্ধে নামানো হচ্ছে। ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্টের ভাষায়, ‘রুশ সেনাবাহিনী দোনবাসে রিজার্ভ বাহিনী মোতায়েন করার চেষ্টা করছে। এখন তাদের কাছে আর কী মজুদ থাকতে পারে?’
জেলেনস্কি আরও বলেন, মনে হচ্ছে, চলমান এই যুদ্ধে রাশিয়া এখন দুর্বল প্রশিক্ষিত সেনাদের নামানোর চেষ্টা করছে। রুশ জেনারেলরা তাদের জনগণকে কেবল কামানের খোরাক হিসাবে ব্যবহার করেন।
আমারসংবাদ/এবি