আফগানিস্তানে শক্তিশালী ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ১ হাজার ছাড়িয়েছে। এখন পর্যন্ত আহতের সংখ্যা ১৫০০। পাকতিকা প্রদেশের তথ্য বিভাগের প্রধান মোহাম্মদ আমিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত ১ হাজার মানুষের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে ভূমিকম্প কবলিত পাকতিকার প্রদেশের এক সাংবাদিক বলেছেন, ‘যে রাস্তায়ই আপনি যাবেন, শুনতে পাবেন কান্নার শব্দ, স্বজনরা তার প্রিয়জনের জন্য আহাজারি করছেন।’
ওই সাংবাদিক বিবিসিকে আরও বলেন, ‘অনেক মানুষ তার স্বজনদের খোঁজখবরও নিতে পারছে না, কারণ ফোনের নেটওয়ার্ক কাজ করছে না। আমার ভাই ও তার পরিবারের সদস্যরা মারা গেছেন, কয়েক ঘণ্টা পর আমি এইমাত্র জানতে পারলাম। অনেক গ্রাম ধ্বংস হয়ে গেছে।’
পাকতিকা এলাকার এক চিকিৎসক বিবিসিকে বলেন, ‘ভূমিকম্পের আগেও আমাদের তেমন জনবল ছিল না, ভূমিকম্পের পর যা ছিল, সেটাও গেছে। আমি এখনও জানি না, আমার কয়জন কলিগ এখন বেঁচে আছে।’
আফগানিস্তান, পাকিস্তান আর ভারতের ৫০০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে এই ভূকম্পন অনুভূত হয়েছে। জানা গেছে, গায়ানের একটি গ্রাম পুরোপুরি ধ্বংস হয়েছে।
২০০২ সালের পর বুধবারের এই ভূমিকম্পটি আফগানিস্তানে সবচেয়ে প্রাণঘাতী। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) বলছে, বুধবার ভোরের দিকে আফগানিস্তানের দক্ষিণপূর্বাঞ্চলের প্রত্যন্ত পার্বত্যাঞ্চলীয় খোস্ত প্রদেশে ৬ দশমিক ১ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। খোস্ত শহর থেকে ৪৪ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে পাকিস্তান সীমান্তের কাছে ভূপৃষ্ঠের ৫০ দশমিক ৮ কিলোমিটার গভীরে ভূমিকম্পটির উৎপত্তি হয়েছে।
এক বিবৃতিতে আফগানিস্তানের ক্ষমতাসীন শাসকগোষ্ঠী তালেবানের সর্বোচ্চ নেতা হাইবাতুল্লাহ আখুন্দজাদা ভূমিকম্পে হতাহতদের প্রতি গভীর শোক ও সমবেদনা জানিয়েছেন।
ইএফ