টেক্সাসের স্যান অ্যান্টোনিওতে ট্রাক্টর-ট্রেইলার থেকে মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৩ জনে। এদের মধ্যে ৪০ জন পুরুষ এবং ১৩ জন নারী বলে বুধবার (২৯ জুন) জানিয়েছে, বেক্সার কাউন্টি মেডিকেল এক্সামিনারস অফিস।
সোমবার সন্দেহভাজন মানব পাচারের ঘটনায় ট্রাক্টর-ট্রেইলার থেকে কমপক্ষে ৪৬ জনের মরদেহ উদ্ধার করার ঘোষণা দেয় স্যান অ্যান্টোনিও পুলিশ প্রধান। সেসময় ১৬ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ১২ জন প্রাপ্তবয়স্ক এবং চারটি শিশু। সবাইকে স্থানীয় হাসপাতালে পাঠানো হয়।
কিন্তু মঙ্গলবার মৃতের সংখ্যা ৫১ জন বলে নিশ্চিত করে আইস। যাদের মেক্সিকো, গুয়াতেমালা এবং হন্ডুরাসের নাগরিক বলে চিহ্নিত করে আইস কর্তৃপক্ষ। টেক্সাসের এই ঘটনাকে অ্যামেরিকায় স্মরণকালের সবচেয়ে মর্মান্তিক মানব পাচারের ঘটনা বলে উল্লেখ করা হয়।
বিপুল সংখ্যক এই মানুষের মৃত্যুর জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে দায়ী করেছেন টেক্সাসের গভর্নর গ্রেগ অ্যাবট। তার অভিযোগ, বাইডেনের মারাত্মক উন্মুক্ত সীমান্ত নীতির ফলাফল হিসেবে এই মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। মেক্সিকোর পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্সেলো ইব্রার্ড বলেছেন, লরিটি খুঁজে পাওয়ার স্থানে তারা প্রতিনিধি পাঠিয়েছেন। সূত্র: পার্সটুডে
আমারসংবাদ/এবি