শ্রীলঙ্কায় সরকারবিরোধী বিক্ষোভে এক তরুণের মৃত্যু হয়েছে। হিন্দুস্থান টাইমসের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে। গত বুধবার (১৩ জুলাই) রাজধানী কলম্বোয় দেশটির প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের বাইরে বিক্ষোভ চলাকালে এই ঘটনা ঘটে।
মারা যাওয়া ওই ব্যক্তির বয়স ২৬ বছর। এছাড়া সংঘর্ষে আহত হয়েছেন এখন পর্যন্ত ৮৪ জন। তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের বাইরে বিক্ষোভকারীদের নিয়ন্ত্রণে নিরাপত্তা বাহিনী কাঁদানে গ্যাস ছুড়লে ওই ব্যক্তির শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়। পরে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানেই মৃত্যু হয়।
কলম্বোর ন্যাশনাল হসপিটালের (সিএনএইচ) বরাতে বৃহস্পতিবার এই তথ্য জানিয়েছে শ্রীলঙ্কান সংবাদমাধ্যম ডেইলি মিরর অনলাইন।
এদিকে সিএনএইচের একটি সূত্র জানিয়েছে, গত রাতে পার্লামেন্টের কাছে সংঘর্ষের ঘটনায় আহত ৪২ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
নজিরবিহীন অর্থনৈতিক সংকট ও গণ–আন্দোলনের মধ্যে গত মঙ্গলবার রাতে সামরিক বিমানে দেশ ছেড়ে মালদ্বীপে পালিয়ে যান শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে।
পরদিন বুধবার দেশটির স্পিকার শ্রীলঙ্কার ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহের নাম ঘোষণা করেন। এই ঘোষণায় রাজধানী কলম্বোসহ দেশজুড়ে বিক্ষোভ আরও জোরালো হয়।
পরিস্থিতি সামাল দিতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে শ্রীলঙ্কায় জরুরি অবস্থা জারি করা হয়। এ ছাড়া সারা দেশে আজ বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত কারফিউ জারি করা হয়।
ক্ষুব্ধ বিক্ষোভকারীরা বুধবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে হানা দেন। সেনাবাহিনী ও পুলিশের নিরাপত্তাবেষ্টনী ভেঙে তারা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ঢুকে পড়েন। এ সময় পুলিশের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ হয়।
বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে পুলিশ। কিন্তু বিক্ষোভকারীদের দমানো সম্ভব হয়নি। তারা একপর্যায়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় দখলে নেন। অবিলম্বে রনিল বিক্রমাসিংহের পদত্যাগ দাবি করছেন তারা।
আমারসংবাদ/টিএইচ