দেউলিয়া হওয়ার আশঙ্কা এড়াতে সরকারি সম্পত্তি বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাকিস্তান। সমস্ত যথাযথ প্রক্রিয়া এবং নিয়ন্ত্রক যাচাই-বাছাইয়ের বাইরে গিয়ে অন্যান্য দেশের কাছে সরকারি সম্পদ বিক্রি করতে চায়।
এই বিষয়ে পাকিস্তানের ফেডারেল মন্ত্রিসভা একটি অধ্যাদেশ অনুমোদন করেছে। পাস হওয়া এই নয়া অর্ডিন্যান্সের ফলে আপৎকালীন পরিস্থিতিতে দেশের সম্পত্তিকে বিদেশে বিক্রি করার সময় কেউ তার প্রতিবাদে কোনও পিটিশন দাখিল করলেও আদালত সেটাকে গ্রাহ্য করবে না।
আপাতত দুই বিলিয়ন থেকে আড়াই বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বিনিময়ে দেশের তেল ও গ্যাস সংস্থার শেয়ার ও সরকারি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র আরব সংযুক্ত আমিরাতকে বিক্রি করে বিদেশি মুদ্রা বাড়াতে মরিয়া পাকিস্তান। আর তার আগেই আনা হলো এই পরিবর্তন।
মে মাসেই আরব আমিরাত জানিয়েছিল, পুরনো ঋণ শোধ করতে অপারগ পাকিস্তানকে তারা আর কোনও রকম অর্থসাহায্য করবে না। এই পরিস্থিতিতে ঋণ শোধ করতে দেশীয় সম্পত্তি বিক্রির পদক্ষেপ ছাড়া কার্যত আর উপায় নেই পাকিস্তানের।
এই পরিস্থিতিতে ইমরানের অভিযোগ, 'দেশের সম্পদ বিক্রির জন্যেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তার কথায়, 'মার্কিন চক্রান্তে আমদানি করা যে সরকার গদিতে বসেছে, তারা কীভাবে আইনের তোয়াক্কা না করে দেশের সম্পদ বিক্রি করে দেয়? গত ৩০ বছর ধরে তারা পাকিস্তানের সম্পদ লুঠ করে চলেছে।'
পাকিস্তানের অবস্থা শ্রীলঙ্কার মতো হতে আর বেশি দেরি নেই বলেও সতর্ক করেছেন পাকিস্তান তেহেরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) চেয়ারম্যান।
ইমরানের একের পর টুইট বানের পর আসরে নামেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ।
তিনি বলেন, 'পিটিআই চেয়ারম্যান অনেক কিছুই ভুলে গিয়েছেন। আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর রিপোর্ট অনুযায়ী, তার আমলে একের পর এক দুর্নীতির ঘটনা ঘটেছে। সরকারি কর্মীদের বদলিতেও টাকার লেনদেন হয়েছে। পাক অর্থনীতিতে খাদের কিনারায় নিয়ে গিয়েছেন ইমরানই। যার খেসারত আজ পাক জনগণকে দিতে হচ্ছে।'
আমারসংবাদ/এআই