মার্কিন ড্রোন হামলায় আফগানিস্তানে আল-কায়েদা নেতা আয়মান আল-জাওয়াহিরি নিহত হয়েছেন।
রোববার (৩১ জুলাই) আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে সিআইএ পরিচালিত সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে তিনি নিহত হন বলে নিশ্চিত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
বাইডেন বলেন, জাওয়াহিরি আমেরিকান জনগণের বিরুদ্ধে হত্যা ও সহিংসতা চালিয়েছিলেন। এখন বিচার হয়েছে এবং এই সন্ত্রাসী নেতা আর নেই।
কর্মকর্তারা জানান, জাওয়াহিরি একটি সেফ হাউসের বারান্দায় অবস্থান করার সময় ড্রোনটি তাকে লক্ষ্য করে দুটি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে। সেখানে তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা রয়েছেন। তবে তারা অক্ষত আছেন। শুধু জাওয়াহিরিকে হত্যা করা হয়েছে।
বাইডেন বলেন, তিনি কয়েক মাস ধরে পরিকল্পনা করার পরে ৭১ বছর বয়সী আল-কায়েদা নেতার ওপর ‘নির্ভুল হামলা চালানোর’ চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছেন।
২০১১ সালে ওসামা বিন লাদেনের মৃত্যুর পর জাওয়াহিরি আল-কায়েদার দায়িত্ব নেন। তিনি এবং ওসামা বিন লাদেন একসঙ্গে ৯/১১ হামলার পরিকল্পনা করেছিলেন এবং তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের `মোস্ট ওয়ান্টেড সন্ত্রাসীদের` তালিকার একজন ছিলেন।
বাইডেন বলেন, যতই সময় লাগুক না কেন, আপনি যেখানেই লুকিয়ে থাকুন না কেন, আপনি যদি আমাদের জনগণের জন্য হুমকি হয়ে থাকেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আপনাকে খুঁজে বের করে নিয়ে আসবে। আমরা আমাদের জাতি এবং জনগণকে রক্ষা করার ব্যাপারে অনড় থাকব।
বাইডেন আরও বলেন, জাওয়াহিরি অন্যান্য সহিংসতারও পরিকল্পনাকারী। এরমধ্যে ২০০০ সালের অক্টোবরে এডেনে ইউএসএস কোল নেভাল ডেস্ট্রয়ারের আত্মঘাতী বোমা হামলায় ১৭ মার্কিন নাবিক নিহত হয়েছিল।
তালেবানের একজন মুখপাত্র মার্কিন অভিযানকে আন্তর্জাতিক নীতির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন বলে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, এই ধরনের কর্মকাণ্ড বিগত ২০ বছরের ব্যর্থ অভিজ্ঞতার পুনরাবৃত্তি এবং যুক্তরাষ্ট্র, আফগানিস্তান এবং অঞ্চলের স্বার্থবিরোধী।
তবে এই অভিযানের আইনি ভিত্তি রয়েছে বলে দাবি করেছেন মার্কিন কর্মকর্তারা। সূত্র : বিবিসি
এবি