এক বছরেরও কম সময়ের মধ্যে চীনে বিদেশি চারজন রাষ্ট্রদূত মারা গেলেন। রোববার সর্বশেষ কুনমিং শহরে মারা যান মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত ইউ মিও থান্ট পি। ধারণা করা হচ্ছে, তিনি হার্টএটাকে মারা গেছেন। সেপ্টেম্বরের পর মারা গেছেন জার্মানি, ইউক্রেন এবং ফিলিপাইনের রাষ্ট্রদূতরা।
মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় মিডিয়া এবং বেইজিংয়ের কূটনৈতিক সূত্রকে উদ্ধৃত করে এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় সংবাদপত্রে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করলেও কি কারণে মারা গিয়েছেন তা সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করেনি। বেইজিংয়ের কূটনীতিকরা এবং চীনা ভাষার মিয়ানমারের মিডিয়ার রিপোর্টে বলা হয়েছে, তিনি হার্টএটাকে মারা গিয়ে থাকতে পারেন।
স্থানীয় সংবাদে বলা হয়েছে, মিয়ানমারের সীমান্ত লাগোয়া চীনের ইউনান প্রদেশে স্থানীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে শনিবার সর্বশেষ বৈঠক করতে দেখা গিয়েছে রাষ্ট্রদূত ইউ মিও থান্ট পি’কে। এ বিষয়ে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি চীনে অবস্থিত মিয়ানমারের দূতাবাস।
তাকে ২০১৯ সালে চীনে রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছিল। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে দেশে সামরিক অভ্যুত্থান হওয়ার পরও তিনি স্বপদে থেকে যান।
এ নিয়ে চীনে এক বছরে মারা গেলেন ৪ জন বিদেশি রাষ্ট্রদূত। বেইজিংয়ে নিয়োগ দেয়ার দু’সপ্তাহেরও কম সময় পরে সেপ্টেম্বরে মারা যান জার্মান রাষ্ট্রদূত জ্যান হিকার (৫৪)। বেইজিং শীতকালীন অলিম্পিকের একটি ভেন্যুতে যাওয়ার সামান্য পরে ফেব্রুয়ারিতে মারা যান ইউক্রেনের রাষ্ট্রদূত সারহিই কামিশেভ (৬৫)। এপ্রিলে আনহিল প্রদেশে কোয়ারেন্টিনে মারা যান ৭৪ বছর বয়সী ফিলিপাইনের রাষ্ট্রদূত জোসে সান্তিয়াগো ছিতো স্টা রোমানা।
ইএফ